মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু

সাহিত্য ডেস্ক
সাহিত্য ডেস্ক সাহিত্য ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩৬ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২০

ড. আছমা বিনতে ইকবাল

উনিশশো পঁচাত্তরের পনেরো আগস্ট রাতে
বঙ্গবন্ধুর অমূল্য প্রাণের বিসর্জন
একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্তের হাতে।
তার পরিবারের স্বজনরাও
অসংখ্য গুলির আঘাতে নিথর দেহে রক্তে রঞ্জিত মাটিতে।
এখানেই ক্ষান্ত হয়নি নরপিশাচের দল,
কালাে হাতের থাবায় বাকরুদ্ধ করলাে বাঙালি জাতিকে
ইনডেমনিটি বিলে মৃত্যুর বিচারে নিষেধাজ্ঞা এনে।
আর্তচিৎকারে লুটিয়ে পড়া
বঙ্গবন্ধুর নিথর দেহকে নিয়ে,
ছিল না সেদিন কোনাে স্বজনের আহাজারি,
ছিল না স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কিংবা অন্যত্র
মানববন্ধন কিংবা দ্রোহের আগুনে স্লোগানে স্লোগানে।
বিপ্লবী জনতার ঢল।
বাঙালিরা সেদিন কাঁদতে পারেনি অঝােরে,
জাতির পিতার অকাল প্রয়াণে।
তাক করা বন্দুকের নলের গরম ধােঁয়ায়
চোখের পানি যে চোখেই শুকায়,

গুমােট কান্না যে বুকের ভিতরে রক্তক্ষরণে ধায়।
সুগন্ধি শাবানের ঘ্রাণে ধূসর ধবল মসৃণ কাপড়ে,
কিংবা প্রার্থনার প্রাঙ্গণে শুভ কামনায়,
অশ্রু দিয়ে লেখা গানে
বঙ্গবন্ধুর হয়নি লােকালয় থেকে শেষ বিদায়।
হায়নাদের ক্ষিপ্তবেগের বর্ষাঘাতে
নিস্তব্ধ করেছিলা আবেগাপ্লুত ভালোবাসার গান।
আগস্টের এই শােকবার্তাই স্বাধীন বাংলায়
সূচনা করেছিল ট্রাজেডির মহা-উপাখ্যান।
ট্রাজেডির এই মহা-উপাখ্যান মহা-মানবের মহিমান্বিত কর্মে,
শােকের শক্তিতে গ্রন্থিত মৃত্যুঞ্জয়ী গানে প্রতিপ্রাণে।
বঙ্গবন্ধু আছেন আমাদের চিন্তা-চেতনায়
আছেন উপলব্ধিতে অনুভূতিতে, রক্তের শিরায় শিরায়,
তিনি আছেন বাঙালিদের প্রতিটি উত্সবে,
তিনি আছেন বাঙালিদের প্রকৃত আচরিত
জীবনের প্রতিটি অনুষঙ্গে
আছেন তিনি লাল-সবুজের পতাকার মাঝে
কীর্তিমান হয়ে।।

কবি: অধ্যাপক ও চেয়ারপার্সন, লােক-প্রশাসন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।