শব্দনীলের চারটি কবিতা

সাহিত্য ডেস্ক
সাহিত্য ডেস্ক সাহিত্য ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৮ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯

প্রশ্ন

হে কৃপা,
ঈশ্বরের মন নরম হল বুঝি!
তুমি যে, সাতসকালে আমার দ্বারে
ভুল ঠিকানায় নয়তো?

কারণ

লুকিয়ে কবিতার বাঁকে, শূন্যতা খুঁজতে এসেছি
কারণ, এখানে শরীরের ভাষা বোঝে
রেণুতে ঘ্রাণ ওড়ে।

২.
পাখাগুলো জন্মানোর সাথে সাথে
স্বর্গলোভে কাঙ্গাল হয় পিঁপড়ার দল।
আগুন দেখেই ঝাঁপ দেয় মনের আনন্দে,
কারণ, সৃষ্টি মাত্র মৃত্যু
সে কথা তাদের জানা নেই।
জানা নেই কোনটায়
অমরত্ব।

পিওনি

শহরের সোডিয়াম লাইটে আমি মানুষ চিনি না
সকলের অভিন্ন নাম, মুখ, চোখ
চোখের ভেতরে আর একটি শহর
ইশশ! কী বিষণ্ন, কী নিস্তব্ধ
যেনো কাফন শুভ্র, গোর আঁধার
বিশ্বাস করো পিওনি।

তোমার গোলাপি পাপড়ির ভাঁজে আমাকে একটু লুকাতে দাও।

এখানে জল গড়ায় না শুকিয়ে যাওয়ার ভয়ে
ধরা হয় গলা চেপে অঙ্কুর হওয়ার আগে
প্রতিযোগিতা হয় নিজেদের সাথে
কার চেয়ে কে কতটা ডুবতে পারে
আপন খোলসে।

পিওনি, আমি ফিরতে চাই সোডিয়াম লাইট ছেড়ে
তোমার মনোহর পল্লীবুকে।

শর্তহীন সঙ্গী

পৌষের কারুকার্যের ঘোরে থমকে গেছিলাম বাউলাইয়ের তীরে। সেখানেই একটি হলুদ উস্তেপাতা বলেছিল সুদীর্ঘ ভ্রমণকথা। মোরগঝুঁটির এই বনেদি পথ ধরে কোন এক অঘোর সন্ধ্যায় গিয়েছিল সে, সজনে ফুল কুড়াতে। কঁচি ধানের দুধের মতো বেরসিক জ্যোৎস্না, তার আগেই লুটে নিয়েছে।

তবুও খুব গোপন এক খুশবু পেয়েছিল। তারপরই পাড়া থেকে মহল্লা, মহল্লা থেকে গ্রাম, গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে বিরতিহীন ছুটে চলা রহস্যের খোঁজে...

আমাকেও সে বিনাশর্তে সঙ্গী করতে রাজি আছে।

এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।