লিচুর পুষ্টিগুণ
লিচু খেতে পছন্দ করে না এমন কেউ নেই। প্রায় সবারই পছন্দের ফলের তালিকায় রয়েছে লিচু। গরমের সময় এ ফলটি বেশ জনপ্রিয়। লিচু স্বাদে গন্ধে অনন্য। দেখতে যেমন সুন্দর, পুষ্টিগুণে তেমনি ভরপুর। সুস্বাদু এই ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘সি’।
লিচুতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে, যা আমাদের শক্তি জোগাতে সহায়তা করে। লিচুতে থাকা কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার হজমে দারুণ ভাবে সহায়তা করে। লিচুতে থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের দেহের হাড়, দাঁত, চুল, ত্বক, নখ ভালো রাখে।
লিচুতে থাকা নিয়াসিন ও রিবোফ্লাভিন নামক ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স শরীরের জ্বালাপোড়া, দুর্বলতা দূর করে। লিচু প্রচণ্ড ক্ষতিকর আলট্র্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে শরীরকে রক্ষা করে। এছাড়াও লিচুতে থাকা ভিটামিন সি জ্বরঠোসা, জিহ্বার ঘা, জিহ্বার চামড়া ছিলে যাওয়া রোগ প্রতিরোধ করে।
লিচুর পাতার কিছু ভেষজ গুণ রয়েছে। পোকামাকড়ে কামড়ালে লিচুর পাতার রস ব্যবহারে ভালো হয়। কচি লিচু শিশুদের বসন্ত রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কাশি, পেটব্যথা, টিউমার দমনে লিচু কার্যকর।
মনোপোজ পরবর্তী নারীদের শরীরে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম সরবরাহে লিচু খুবই উপকারী। লিচুর আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে বিটা ক্যারোটিনসহ প্রয়োজনীয় ভিটামিন শোষণে সহায়তা করে।
তবে লিচু খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বাচ্চাদের খোসা ছাড়িয়ে দিতে হবে এবং পরিমিত খেতে দিতে হবে। এছাড়াও ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের মিষ্টি লিচু কম খেতে হবে।
এইচএন/এসইউ/পিআর