শীতে ফেটেছে ঠোঁট...


প্রকাশিত: ১২:৩৬ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪

শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুষ্কতাও আমার-আপনার সকলের নিত্যসঙ্গী। কখনও পা ফাটছে, তো কখনও ঠোঁট। শুষ্ক ত্বক আর ফাটার সমস্যায় নাজেহাল হয়ে কীভাবে তা আটকাবেন ভাবতে ভাবতে ইতিমধ্যেই বাজারের সবকটা  লিপবাম ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ব্যবহার করে ফেলছেন। অগত্যায় উপায়?

১) ঠোঁটে সবসময়  ভালো কোম্পানির লিপবাম লাগান। না হলে ত্বকের সমস্যা হতে পারে। লিপবাম কেনার সময় দেখবেন তাতে এসপিএফ রয়েছে কি না। কারণ শীতকালেও সানবার্নের হাত থেকে বাঁচাটা জরুরি। তাই লিপবার্মে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর ও ময়েশ্চারাইজার রয়েছে কি না দেখে কিনবেন।

২) ঠোঁট ফাটার অন্যতম কারণ শরীরের ডিহাইড্রেশন। আর শীতে এমনিতেই জল খাওয়া কম হলে শরীরের শুষ্কতা বেড়ে যায়। তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন অন্তত আড়াই থেকে তিন লিটার জল খেতে। লোকের সামনে বার বার ঠোঁট ফাটা নিয়ে লজ্জায় পড়তে হবে না।

৩) অনেকে ঠোঁট ফাটার হাত থেকে রক্ষা পেতে কিছুক্ষণ পরপরই জিভের লালা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে থাকেন। এটা খুবই অশোভন ব্যাপার। এতে সমস্যার সামধান তো হয়ই না, উল্টো আরও বেশি করে ঠোঁট ফাটার সমস্যা আপনাকে ভোগায়।

৪) ঠোঁটকেও আলাদাভাবে রাখুন পরিচ্ছন্ন। এজন্য ঘরেই বানাতে পারেন বিশেষ প্যাক। মধু ও লেবুর রসের বিশেষ প্যাক ঠোঁটের ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া গ্লিসারিন, জলপাই তেল একসঙ্গে মিশিয়ে কাচের বোতলে করে ফ্রিজে রাখতে পারেন। ঠোঁট শুষ্ক হলেই এই মিশ্রণ অল্প অল্প করে লাগান।

৫) শীতকালে কখনওই ম্যাট লিপস্টিক লাগাবেন না। এতে ঠোঁট আরও বেশি করে শুকিয়ে যায়। এসময় লিপগ্লস বা ময়েশ্চারাইজার-যুক্ত লিপস্টিক ব্যবহার করবেন। আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

৬) রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটেও ভালো করে ময়েশ্চারাইজার লাগান। প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারেন অলিভ অয়েলও। তবে অ্যালার্জি থাকলে লাগাবেন না।

৭) যেখানেই যাবেন পার্সে সবসময় রাখুন ছোট ভেসলিন বা বোরেলীন। কিছুক্ষণ পর পর ঠোঁট শুকিয়ে গেলে লাগাতে পারেন।

৮) শীতে কখনও যদি দেখেন ঠোঁটে কালো কালো ছোপ পরতে শুরু করেছে, তা হলে কালবিলম্ব না করে অবিলম্বে ডার্মাটোলজিস্টের কাছে যান।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।