দাঁত থাকতে দাঁতের মূল্য দিন!


প্রকাশিত: ০৬:৫১ এএম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৪

দাঁতের সুরক্ষার জন্য প্রতিদিন দাঁত তো মাজবেনই, পাশাপাশি দরকার বাড়তি কিছু যত্ন। নয়তো দাঁত একবার নষ্ট হলে আর ফিরে পাবেন না! পছন্দমত খাবার খাওয়া আর ঝকঝকে সুন্দর হাসির জন্য দাঁতকে সুস্থ রাখা জরুরি।


কমলালেবু, জাম্বুরা ইত্যাদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাদ্য বেশি খেলে মাড়ি ভালো থাকে । আপেলকে বলা হয় প্রাকৃতিক টুথব্রাশ। খাবার শেষে একটি আপেল খেতে পারেন। গাজরেও আছে দাঁত পরিষ্কারের প্রাকৃতিক ক্ষমতা।

অনেকেই দাঁত মাজার ক্ষেত্রে সতর্ক নন। অনেকে আবার ছাই বা কয়লা ব্যবহার করে। এতে সাময়িকভাবে দাঁত সাদা দেখালেও দাঁতের শক্ত প্রতিরক্ষা ক্ষয় হতে শুরু করে এবং দাঁত শিরশির করে। অনেকে দাঁত দিয়ে বিভিন্ন প্যাকেট খোলে, কোমল পানীয়ের কর্ক খোলে, মেয়েরা চুলের ক্লিপ খোলে, আবার অনেকে নিজের অজান্তে পেনসিল বা কলম চিবোয়, নখ বা সুতা কাটে। এসব আপত্তিকর অভ্যাস একইভাবে দাঁত ক্ষয় করে। তাই দাঁতকে এসব কাজে ব্যবহার না করাই ভালো।

কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিঙ্ক, কিংবা কৃত্রিম জুসে থাকে সাইট্রিক ও ফসফরিক অ্যাসিড। এগুলো দ্রুত ক্ষয় করে এনামেল। স্ট্র ব্যবহারে ক্ষতি কিছুটা এড়ানো যায়।

মিষ্টিজাতীয় খাদ্য দাঁতের গর্ত সৃষ্টি করতে পারে, যাকে ক্যারিজ বলা হয়। এ কথা এখন কম-বেশি বেশির ভাগ মানুষ জানে। কিন্তু আলুর তৈরি আঠালো খাবারও যেমন চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দাঁতের ফাঁকে জমে থাকে এবং সহজেই ক্যারিজ করতে পারে। একইভাবে আঠালো চকলেট, চুইংগাম বেশি ক্ষতিকর, আইসক্রিম এমনকি শুধু বরফও দাঁতে ফাটলের সৃষ্টি করতে পারে। তাই এজাতীয় খাবার খাবার পরপরই দাঁত পরিষ্কার করুন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।