অনলাইনে ঈদের কেনাকাটায় যে ভুল করবেন না

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১৭ পিএম, ২১ মার্চ ২০২৪

অনলাইনে কেনাকাটা করলে সময় ও শ্রম দুটোই বাঁচে। এ কারণে বর্তমানে অনলাইন বিজনেসও ফুলে ফেঁপে উঠেছে। এমনকি ক্রেতারাও যা কিছু প্রয়োজন, তা মুহূর্তেই পেয়ে যাচ্ছেন হাতের কাছে। তবে অনলাইন শপিংয়ের যেমন সুবিধা আছে, ঠিক তেমনই এর অসুবিধাও আছে।

অনেকেই অনলাইনে কেনাকাটা করতে গিয়ে নানাভাবে প্রতারিত হন। অনেক সময় ছবির সঙ্গে বাস্তবের পণ্য মেলে না। আবার কখনো অ্যাডভান্স টাকা দেওয়ার পরও পণ্য হাতে পান না অনেকেই। তাই অনলাইনে কেনাকাটার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। তাহলে এড়াতে পারবেন প্রতারণা। জেনে নিন করণীয়-

১. কোথাও অফার বা ডিসকাউন্ট দেখলে সেখান থেকে পণ্য কিনবেন না। কারণ অফারের পণ্যের মান ততটা ভালো হয় না। এ ক্ষেত্রে নকল পণ্য হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

২. আপনি যে ওয়েবসাইট বা পেজ থেকে পণ্য কিনবেন, সেটি ভালো করে যাচাই করে নিন। অনেক ওয়েবসাইটে প্রবেশের জন্য নতুন করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। ফলে আপনার বিভিন্ন তথ্য ওই ওয়েবসাইটে চলে যায়। তাই যে কোনো ওয়েবসাইটে আগেই অ্যাকাউন্ট খুলবেন না।

৩. অনলাইনে পণ্য কেনার আগে সব বিষয় যাচাই করুন। বিশেষ করে পোশাক কেনার ক্ষেত্রে রং, কাপড়ের কোয়ালিটি, সাইজ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে তবেই অর্ডার করুন।

এতে পণ্য পাওয়ার পর আর আফসোস করতে হবে না। অনেক সময় ছবির সঙ্গে বাস্তবের পণ্যের মিল থাকে না, এজন্য বিক্রেতার কাছ থেকে ওই পণ্যের আসল ছবি দেখে নিন।

৪. অনলাইনে কোনো পণ্য কেনার আগে ওই কোম্পানি বা পেজের সুনাম কেমন তা যাচাই করেন। এ ক্ষেত্রে আপনি রিভিউ দেখতে পারেন। যদি সব রিভিউ ইতিবাচক হয়, তাহলে সেখান থেকে কিনতে পারেন।

৫. বিভিন্ন উৎসব ও উপলক্ষকে কেন্দ্র করে অনেক প্রতিষ্ঠানই চটকদার বিজ্ঞাপন দেয়। যা দেখে অনেকেই নির্দিষ্ট পণ্য কেনার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন। ‘এই সুযোগ সীমিত সময়ের জন্য’ এ কথার মাধ্যমে ক্রেতাকে প্রলুব্ধ করা হয়।

আরও পড়ুন

তাই এমন বিজ্ঞাপন দেখে পণ্য কেনার আগে ১০ বার ভাবুন। ঠিক একইভাবে বিভিন্ন উৎসবের আগে অনলাইনের বিভিন্ন পেইজ ‘ডেলিভারি চার্জ ফ্রি’ কিংবা ‘একটি কিনলে ২টি ফ্রি’ ইত্যাদি অফার গ্রহণ করে মানহীন পণ্য কিনবেন না।

৬. যেসব ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ ক্রেতার কাছ থেকে অগ্রিম টাকা আবদার করে, সেখান থেকে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ক্যাশ অন ডেলিভারি নিতে পারেন। এতে আপনি পণ্য দেখেশুনে সব ঠিক থাকলে তবেই টাকা ডেলিভারি ম্যানের হাতে ধরিয়ে দিতে পারবেন।

৭. প্রচারকচক্র এখন বিখ্যাত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনলাইন ওয়েবসাইটের সবকিছু নকল করে থাকে। বানান বা ডিজাইনে সামান্য পরিবর্তন এনে এসব ফেক সাইট খোলা হয়। তাই যে কোনো শপিং সাইটে ব্যক্তিগত বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য প্রবেশ করানোর আগে দেখুন পৃষ্ঠার ওয়েব ঠিকানা ‘https:’ দিয়ে শুরু হচ্ছে নাকি ‘http:’। যদি প্রথমটি হয় তাহলে বুঝবেন সেটি সুরক্ষিত নয়।

৮. আবার যদি কোনো ই-স্টোর আপনাকে খুব কম দামে ভালো পণ্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলেও সতর্ক থাকুন। একই পোশাক যদি এক স্থানে দেখেন বেশি দাম ও অন্য স্থানে কম, তাহলে কিন্তু দ্রুত তা কিনতে যাবেন না।

কারণ পোশাকের ডিজাইন একই হলেও মেটেরিয়ালে হেরফের থাকতে পারে। ঠিক তেমনই কসমেটিক্স বা সানগ্লাস, বেল্ট, ঘড়ি ইত্যাদি ভালো ব্র্র্যান্ডের জিনিসের রেপ্লিকাও এখন বাজারে আছে। তাই বুঝে শুনে তবেই কিনুন।

৯. এ ছাড়া অনলাইনে বা ফেসবুকে লোভনীয় বিভিন্ন অফারের কোনো পপআপ, ই-মেইলে পাওয়া কোনো ফিশিং লিংকে ক্লিক করা কিংবা পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে অনলাইনে কেনাকাটা না করাই ভালো। এতে হ্যাকাররা সহজেই আপনার ফোন হ্যাক করে বিভিন্ন তথ্য চুরি করতে পারবে।

জেএমএস/এসইউ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

আরও পড়ুন