ইফতারে মিষ্টি খাবারের পরিবর্তে ডায়াবেটিস রোগীরা যা খাবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৩ পিএম, ১৭ মার্চ ২০২৪

বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। একবার রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ মুশকিল। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনা জরুরি। এক্ষেত্রে মিষ্টিজাতীয় সব খাবারের পাশাপাশি কর্বোহাইড্রেটসহ প্রাকৃতিক চিনি আছে এমন ফল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হয়।

তবে আফসোসের বিষয় হলো, বেশিরভাগ ডায়াবেটিস রোগীর মধ্যেই মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। অনেক রোগীই মিষ্টি খাওয়ার লোভ সামলাতে না পেরে খেয়েও ফেলেন। পরবর্তী সময়ে দেখা যায় রক্তে শর্করার পরিমাণ হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। এ সমস্যার সমাধানে একটু ধৈর্য ধরতে হবে।

চিনি মেশানো খাবার শুধু ডায়াবেটিস নয় বরং হৃদরোগ, স্থূলতাসহ নানা রোগের কারণ। তাই যখনই মুখ মিষ্টি করার তীব্র ইচ্ছা জাগবে, তখন স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নিন। জেনে নিন মিষ্টি খাওয়া ইচ্ছে হলে কোন কোন খাবার খাবেন-

আরও পড়ুন

পছন্দের ফল খান

সব ধরনের ফলেই কমবেশি প্রাকৃতিক চিনি আছে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। এতে স্বাস্থ্য ও স্বাদ দু’টোই রক্ষা হবে। তাই যখনই মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করবে তখনই একটি ফল হাতে তুলে নিন। তবে বেশি মিষ্টিজাতীয় ফল খাওয়া যাবে না।

চিনির বদলে মধু খান

দুধ বা দইয়ে চিনি দিয়ে খেতে ইচ্ছে করলে মধু ব্যবহার করুন। এতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করেই মিষ্টিমুখ করতে পারবেন। তবে অতিরিক্ত মধু খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

শরবতে গুড় মিশিয়ে নিন

বিভিন্ন শরবতে চিনির বদলে গুড় ব্যবহার করতে পারেন। চিনির চেয়ে গুড়ে ক্ষতির মাত্রা অনেকটাই কম। আর গুড় কম প্রসেসড। তাই সামান্য গুড় খেয়েও মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কমাতে পারেন। তবে যে উপায়েই মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে পূরণ করুন না, তার আগে মেপে দেখুন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে কি না।

উচ্চ মাত্রায় ডায়াবেটিস থাকাকালীন যে কোনো ধরনের মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলুন। আর অবশ্যই শরীরচর্চা করে অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়াতে হবে। তাহলে আর রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার ঝুঁকি থাকবে না। ডায়াবেটিস রোগীকে অবশ্যই নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন করতে হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।