কিস ডে’র চল কবে থেকে?
আর একদিন পরেই ভ্যালেনটাইনস ডে। তবে এর আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে প্রেমের আবহ। ১৩ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন উইকের শেষ দিন। প্রমিস, প্রপোজ, টেডি, হাগ পেরিয়ে শেষ দিন চলে আসে ভ্যালেনটাইন উইকের। আর ওই দিনটির নাম কিস ডে।
কিস ডে’র উদযাপিত হচ্ছে হাতেগোণা কয়েক বছর ধরে, তবে প্রেমের বন্ধনে চুম্বনের উদযাপন আবহমান কাল ধরেই। যেমন ধরা যাক, রবীন্দ্রনাথের চুম্বন কবিতাটার কথা। সেখানেও বলা হয়েছে, ‘অধরের কানে যেন অধরের ভাষা/দোঁহার হৃদয় যেন দোঁহে পান করে।’
শুধু যে প্রেমেই চুম্বন হয়, তা তো নয়। প্রতিটি ভরসা ও সুরক্ষিত সম্পর্কের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে চুম্বন। শৈশব থেকে এমন নানা চুম্বনের আদর বড় করে তোলে আমাদের। তবে ভ্যালেনটাইনস ডে-এর আগে এই দিনটি অলিখিতভাবে একটি বিশেষ সম্পর্কের জন্য নির্দিষ্ট।
আরও পড়ুন
প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে শরীরে যা ঘটে
রোদে বের হলেই কি ভিটামিন ডি পাওয়া যায়?
কিস ডে’র ইতিহাস
কিস ডে’কে অনেকেই হাল আমলের ট্রেন্ড বলে মনে করেন। ঠিক কবে থেকে এই ট্রেন্ডের শুরু, তার কোনো প্রামাণ্য নথি নেই। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, এই দিনটি বিশ শতকের গোড়া থেকে জনপ্রিয় হতে শুরু করে।
চুম্বনের জনপ্রিয়তা অনেক আগে থেকেই ছিল। কিন্তু চুম্বনকে ঘিরে একটি দিনের উপস্থিতি ছিল না সেভাবে। সেই দিনটির জন্ম হয় ২০ শতকে। তখন থেকে এই বিশেষ অনুভূতিকে আলাদাভাবে গুরুত্ব জানানো শুরু হয়।
চুম্বনের যত ধরন
চুম্বনের ও প্রকারভেদ আছে। চুম্বনের ধরনই বলে দেয় সম্পর্কের গভীরতা। এমনকি চুম্বনের ধরন অনুযায়ী বোঝা যায়, সম্পর্কের ধরনও। চুম্বনের কোনও লিখিত ধরন নেই। তবে প্রচলিত রীতি আছে।
যেমন ধরা যাক- ফ্রেঞ্চ কিসের কথা। প্রেমের গাঢ় বন্ধনকেই প্রকাশ করে এই বিশেষ চুম্বন। আবার কপালের চুম্বন অন্য অর্থের ইঙ্গিত। সম্পর্কের সুরক্ষা ও ভরসার সংকেত এই বিশেষ চুম্বন। প্রেমের বাইরেও এই চুম্বন অভিভাবকদের কাছ থেকে সন্তানরা পেয়ে থাকে।
জেএমএস/জিকেএস