শীত আসতেই মুখ-হাত-পায়ে চামড়া উঠছে, কী করবেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১৮ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

শীত পড়লেই মুখ, হাত-পায়ে চামড়া উঠতে দেখা যায় অনেকেরই। এ সমস্যার সমাধানে ক্রিম, ভেসলিন মেখেও কখনো কখনো কাজ হয় না। শীতে ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যায় কম বেশি সবাই ভোগেন।

তবে পিলিং বা ত্বকের খোসা ওঠার সমস্যা কেন হচ্ছে তা আগে বোঝা দরকার। এ বিষয়ে ত্বক বিশেষজ্ঞরা সম্ভাব্য কয়েকটি কারণকে চিহ্নিত করেছেন। জেনে নিন কী কী-

আরও পড়ুন: শীতে শ্বাসকষ্ট কমাতে অ্যাজমা রোগীরা যা মানবেন

ডিহাইড্রেশন

স্বাস্থ্য ও ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতে অনেকেই পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। ফলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তখন শুধু শরীরে নয়, ত্বকেও একই সমস্যা হয়।

ত্বকের কোমল ভাব চলে যায়। একদম রুক্ষ হয়ে যায় স্কিন। তখন এমন পিলিংয়ের সমস্যা দেখা যায়। কম করে সারাদিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত।

স্কিন কেয়ার প্রসাধনী

অনেক সময় দেখা যায় ত্বকের জন্য প্রযোজ্য নয় এমন প্রসাধনী ব্যবহারের কারণেই ত্বকের চামড়া উঠতে পারে। উক্ত স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টে থাকা কেমিক্যাল ত্বকের ক্ষতি করে।

আরও পড়ুন: শীতে সুস্থ থাকতে চাইলে যে খাবারগুলো ভুলেও খাবেন না

দীর্ঘদিন ব্যবহারে সেই স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টে রাসায়নিকের ত্বকের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখায় ও রুক্ষ হয়ে পড়ে ত্বক। আর এ কারণেই ত্বকের চামড়া ওঠে।

ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

অ্যান্টিবায়োটিক বা কড়া কোনো ওষুধের ত্বকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও এ সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে খোসার মতো চামড়া ঝরতে শুরু করে।

আরও পড়ুন: যে সময় চা পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

রোদে পোড়া ত্বক

রোদে পুড়ে সানট্যানের সঙ্গে সঙ্গে স্কিনে প্রায় ফোস্কা পড়ে যায় ছাল ওঠে অনেকেরই। এক্ষেত্রে ত্বক লাল হয়ে যায়। সেক্ষেত্রেও এমন পিলিংয়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শীত বা গরমে ত্বকের সমস্যা

অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরমেও ত্বক হারায় তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা, কোমলতা। তাই শীত বা অত্যাধিক গরমে অধিক যত্নের প্রয়োজন হয়। তাই বাহ্যিকভাবে প্রয়োজনীয় যত্ন নেওয়া না হলে পিলিং স্কিনের সমস্যা হতে পারে।

সূত্র: মায়ো ক্লিনিক

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।