মেথি খেলে কি সত্যিই দ্রুত ওজন কমে?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১৩ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩

ওজন কমাতে কতজনই না কতকিছু করেন। বিশেষ করে শরীরচর্চার পাশাপাশি বেশিরভাগ মানুষই পুষ্টিকর খাবারের দিকে মনোযোগ দেন ওয়েট লস জার্নিতে।

আসলে প্রতিদিনের ডায়েটে সামান্য পরিবর্তন এনে ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়াকে আরও তরান্বিত করতে পারেন মেথির গুণে। শুধু মেথি ভেজানো পানিই নয়, বরং আরও কয়েকটি উপায়ে মেথি খাওয়া হতে পারে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

আরও পড়ুন: এক মাসে কত কেজি ওজন কমানো স্বাস্থ্যসম্মত? 

আসলে মেথিতে থাকে উচ্চ মাত্রায় ক্যারোটিনয়েড থাকে, যা দ্রুত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে এই পানীয় হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ও রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করেন।

পর্যাপ্ত ফাইবারেরও উৎস মেথি। গবেষণায় দেখা গেছে, এতে থাকা ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে, রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

পুষ্টিবিদদের মতে, মেথি ও ওজন নিয়ন্ত্রণের মধ্যকার সম্পর্ক হলো এটি আপনার ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

আরও পড়ুন: ভাত খেয়েও কি ওজন কমানো যায়? 

ইউরোপীয় জার্নাল অব ক্লিনিকাল ফার্মাকোলজিতে প্রকাশিত এক সমীক্ষা অনুসারে, ১২ জন পুরুষ দুই সপ্তাহের জন্য ১.২ গ্রাম মেথি বীজের নির্যাস গ্রহণ করেন, তখন দেখা যায় তাদের দৈনিক ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ প্রায় ১২ শতাংশ কমেছে।

অন্যদিকে ৯ জন স্থূলকায় নারীকে যখন মেথির চা পান করানো হয়, তখন দেখা যায় তাদেরও ক্ষুধা কমেছে।

কীভাবে মেথি খাবেন?

১. মেথির গুঁড়া গরম পানি মিশিয়ে পান করতে পারেন। এই পানিতে লেবু ও মধু মেশাতে পারেন স্বাদ বাড়াতে। আবার আস্ত মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে সেঁকে ওই পানিও পান করতে পারেন।

আরও পড়ুন: ব্যায়াম না করেও কি ওজন কমানো যায়? 

২. সকালে উঠে মেথি-চায়ে চুমুক দিতে পারেন। এই চায়ে দিয়ে দিতে পারেন এলাচ কিংবা আদা। সকালে খালি পেটে এই চা পান করলে বেশি উপকৃত হবেন।

৩. অঙ্কুরিত মেথিও কিন্তু অনেক উপকারী। এজন্য একটি পাত্রে মেথি বীজ নিয়ে তার উপর একটি ভিজে কাপড় ঢাকা দিয়ে রাখুন। মাঝে মধ্যেই কাপড়টিতে পানি দিন।

দিন তিনেক পর মেথি বীজ থেকে অঙ্কুরোদ্গম হবে। এই অঙ্কুরিত মেথিও নিয়মিত খেতে পারলে ওজন ঝরবে দ্রুত।

সূত্র: উইমেনস হেলথ/ হেলথ লাইন/ইন্ডিয়া টাইমস

জেএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।