রুম হিটারের দাম কত, কীভাবে ব্যবহার করবেন?
শীত আসতেই অনেকে ব্যবহার শুরু করেন রুম হিটার। এটি তাৎক্ষণিক ঘর গরম করে বলে শীতে এর চাহিদা বাড়ে। অধিকাংশ হিটারের ভেতরেই গরম ধাতুর পাত বা সিরামিক কোর থাকে। ঘরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য গরম হাওয়া বের করে এটি।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও এখন শীতকালে রুম হিটার ব্যবহারের প্রচলন বেড়েছে। যারা প্রথমবারের মতো রুম হিটার কিনবেন, তাদের বেশিরভাগই জানেন না কোন কোম্পানির হিটার ভালো হবে ও কম দামের মধ্যে কোনটি ভালো সার্ভিস দেবে।
আরও পড়ুন: ভাত খেয়েও কি ওজন কমানো যায়?
বাজারের অন্যান্য রুম হিটার কোম্পানিরগুলোর তুলনায় ভিশন রুম হিটার দামে বেশ সস্তা। দামের দিক থেকে কম হলেও ভিশন রুম হিটারে গুণগত মান যথেষ্ট ভালো ও দীর্ঘদিন ব্যবহারের উপযোগী।
দাম কত?
বর্তমানে বাজারে ভিশন রুম হিটার দাম ১৫০০-৪০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। তাই আপনার যদি বাজেট কম হয় ও কম দামে ভালো মানের একটি রুম হিটার কিনতে চান তাহলে ভিশন হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।
রুম হিটার ব্যবহারের নিয়ম
>> রুম হিটার চালু করার পর ঘরের তাপমাত্রা গরম হতে থাকে। ঘর পর্যাপ্ত গরম হলে হিটার বন্ধ করে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: স্ত্রী আপনাকে সম্মান করেন কি না বুঝবেন যেভাবে
>> রুম হিটারটি শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। ঘরের ফাঁকা অংশে হিটার রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।
>> ঘরের দরজা-জানালায় ফাটল কিংবা ছিদ্র থাকলে তা বন্ধ করে তারপর হিটার চালু করুন।
>> রুম হিটার একটানা ৩-৪ ঘণ্টা চালিয়ে রাখলেই হয়। সব সময় রুম হিটার চালিয়ে রাখলে বিদ্যুৎ বিলও বাড়বে আবার শারীরিক বিভিন্ন সমস্যাতেও ভুগবেন।
আরও পড়ুন: ফোন ধরার কৌশলই জানাবে আপনি কেমন
অতিরিক্ত রুম হিটার ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক
যে কোনো ইলেকট্রনিক্স পণ্য অধিক পরিমাণে ব্যবহার করলে কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ঠিক তেমনই অতিরিক্ত রুম হিটার ব্যবহারেও শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। জেনে নিন কী কী-
>> ঘরের আর্দ্রতা কমে যায় ও ত্বকের শুষ্কতা বাড়ে
>> যাদের অ্যালার্জি বা সোরিয়াসিসের সমস্যা আছে তাদের শরীর চুলকাতে পারে
>> ভুলেও হিটারের পাশে বসবেন না। অ্যাজমার রোগীরা রুম হিটারের কারণে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন।
আরও পড়ুন: ১০ বছরের পুরোনো শাড়িও চকচকে থাকবে যে টিপস মানলে
>> এছাড়া ব্রঙ্কাইটিস ও সাইনাসের রোগীরাও এই যন্ত্রের কারণে সমস্যায় পড়তে পারেন। হিটারের বাতাস এসব রোগীর ফুসফুসে কফ জমাতে শুরু করে।
এ কারণে হাঁচি-কাশি হতে পারে। আবার ফুসফুসে জমে থাকা কফ শুকিয়ে গেলে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হতে পারে।
জেএমএস/জিকেএস