মন ভালো করার হাতিয়ার
বন্ধু, সুখ-দুঃখের ভাগীদার। বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজনের পর যারা পাশে থাকে, তারা বন্ধু। যে বিষয়ে পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করা যায় না; সে বিষয়েও কথা বলা যায় বন্ধুর সঙ্গে। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে, মন ভালো করার হাতিয়ার বন্ধু। যাদের পরম আত্মার বন্ধু নেই, তারা জানে না বন্ধুত্বের গুরুত্ব।
তবে সব বন্ধুর গুণাবলি ও বৈশিষ্ট্য একরকম নয়। কেউ বুদ্ধিমান, কেউ সরল, কেউ মেধাবী, কেউবা যত্নশীল। চলুন জেনে নেওয়া যাক বন্ধুদের গুণাবলি ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।
যত্নশীল
বন্ধুদের মাঝে একজন থাকবে, যে খুব যত্নশীল। সে আপনার খোঁজ সবার আগে রাখবে। বন্ধুমহলে কোনো গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা আপনার অনুপস্থিতিতে হয়েছে, সেই খবরও আপনি তার কাছে সবার আগে পাবেন।
আরও পড়ুন: স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায় কী?
আড্ডাবাজ
এই বন্ধুর জীবনে দুঃখ বলতে কিছু নেই। সবাই মিলে আড্ডা দিতে তার কাছে ভালো লাগে। কাজের ফাঁকে কিংবা বিকেলে চায়ের আড্ডায় গল্পের আসর সে জমাতে পারদর্শী।
সরল
বন্ধুদের মাঝে সরল ও আবেগপ্রবণ কেউ থাকবে না, তা কী করে হয়! অল্পতেই এই বন্ধুর মন গলে যায়। তাই কেউ কেউ এর সুযোগ নেয়। আবার কোনো সমস্যায় পড়লে বা দুঃখ পেলে এরা একদমই ভেঙে পড়ে। তাই এ বন্ধুর প্রতি বিনয়ী হওয়া ভালো।
ভোজনরসিক
এ বন্ধুর কাছে কোন জায়গায় কী খাবার বিখ্যাত, তা জানতে পারবেন। কোন আইটেম ট্রেন্ডে আছে, কোনটার দাম কেমন; তা-ও এই বন্ধুর নখদর্পণে।
আরও পড়ুন: নারী কিংবা পুরুষ কীসে আটকায়?
ভ্রমণপিপাসু
কোথায় এখন ঘুরতে যাওয়ার মৌসুম তার হদিস পাবেন এমন বন্ধুর কাছে। কোথায় গেলে কম খরচে ঘুরে আসা যায়, এসব এ বন্ধুই জানে। নাম না জানা ট্যুরিস্ট স্পটের সন্ধানও এর কাছ থেকে পাবেন।
সমাধানে দক্ষ
জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এ বন্ধুকে। যত বড় বিপদ হোক, সবার আগে এগিয়ে আসে। ঝড়-বৃষ্টি, দিন-রাত তখন এদের কাছে সমান। এছাড়া আপনার পরিবারেরও ভরসার পাত্র হয়ে ওঠে এ বন্ধু।
এসইউ/এমএস