সুস্থ থাকুক শিশুর দাঁত


প্রকাশিত: ০৯:৪৪ এএম, ১৪ মার্চ ২০১৬

বেশিরভাগ শিশুই দাঁত নিয়ে নানারকম সমস্যায় ভুগে থাকে। তাই শিশুর দাঁত ওঠার সময় থেকেই অভিভাবককে সচেতন হয়ে যত্ন নিতে হবে। ৬ মাস বয়সে দাঁত উঠতে শুরু করার আগেই শিশু খুব চঞ্চল ও অস্থির হয়ে উঠে। এই সময়ে শিশু যা কিছু সামনে পায় সেটাই কামড়াতে চায়। তাই এই সময় শিশুর হাতের কাছে বিষাক্ত বা ধারালো কোনো দ্রব্য অথবা ওষুধ পত্র রাখা উচিত নয়। মায়েদের লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন এ সমস্ত জিনিস শিশুর নাগালের বাইরে আছে।

মা সকালে ও রাতে শিশুর সামনেই দাঁত ব্রাশ করবেন। মনে রাখা প্রয়োজন শিশু খুব বেশী অনুকরণ প্রিয়। সে যা দেখবে তাই করতে চাইবে। তাই শিশুর হাতে ছয় মাস বয়সে অর্থাৎ দাঁত উঠার শুরু থেকেই একটা ব্রাশ দেওয়া ভালো। শিশু তখন বড়দের দেখে তা অনুকরণ করতে চাইবে এবং পরবর্তীতে তা অভ্যাসে পরিণত হবে। এর পর থেকে শিশুকে হাতে ধরিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে ব্রাশ চালনা শিক্ষা দিতে হবে।

ফ্লুরাইড বাড়ন্ত শিশুর দাঁতের ক্ষয় রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকর, তাই শিশুর ৬ মাস বয়সের পর থেকে দুধ দাঁতকে রোগ মুক্ত রাখবার জন্য ফ্লুরাইড মিশ্রিত টুথপেষ্ট দেয়া প্রয়োজন। লক্ষ্য রাখতে হবে শিশু যেন ফ্লুরাইড মিশ্রিত টুথপেষ্ট বেশি না খেয়ে ফেলে।

শিশুর দুধ দাঁত কখনো কখনো ১১ বত্সর বয়স পর্যন্ত মুখে অবস্থান করে। সুতরাং লক্ষ্য রাখতে হবে শিশুর দুধ দাঁতগুলো ঠিকমত রক্ষিত আছে কিনা যাতে পরবর্তী স্থায়ী দাঁতগুলো সঠিকভাবে তাদের স্থানে আসতে পারে। কারণ দুধ দাঁতের শিকড়ে প্রদাহ অনেকদিন স্থায়ী থাকলে স্থায়ী দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। যদি দুধ দাঁত অন্য পথ বেছে নেয় তবে দন্ত চিকিত্সকের পরামর্শ নেয়া ভালো, এই দুধ দাঁত পড়া ও স্থায়ী দাঁত উঠার সময়ে শিশুর দিকে নজর রাখা প্রয়োজন নয়তো পরবর্তীতে স্থায়ী দাঁত গুলো আঁকাবাঁকা বা অসমানভাবে বেড়ে উঠতে পারে।

এইচএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।