মাছের ডিম খাওয়া যাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৮ পিএম, ২০ জুন ২০২৩

মাছ খেতে পছন্দ করেন কমবেশি সবাই। মাছের সঙ্গে সঙ্গে মাছের ডিমের প্রতিও দুর্বলতা আছে অনেকেরই। বিভিন্ন মাছের মধ্যে ইলিশের ডিম খেতে সবাই পছন্দ করেন।

তবে শুধু স্বাদ নয়, মাছের ডিম যে পুষ্টিগুণেও অনন্য তা হয়তো অনেকেরই অজানা। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত মাছের ডিম খেলেই বাড়ে বুদ্ধি এমনকি সুস্থ থাকে হার্ট।

আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস রোগীরা কোন কোন ফল খেতে পারবেন? 

এই বিষয়ে ভারতের কলকাতার বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় জানান, মাছের সব অংশই উপকারী। এমনকি এর ডিমে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি ১২, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাসের মতো উপকারী উপাদান।

তাই মাছের ডিম খেলে বিভিন্ন রোগভোগের ঝুঁকি কমে। চলুন জেনে নেওয়া যাক মাছের ডিম খেলে কী কী উপকার মেলে-

>> এতে থাকা ডিএইচএ শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে।
>> এছাড়া মাছের ডিমে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হার্ট ও ব্রেনের স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে।
>> মাছের ডিমে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান বিভিন্ন ক্রনিক অসুখ থেকে বাঁচায়।

আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে মারাত্মক ভাইরাস ছড়াতে পারে, সতর্কতা বিজ্ঞানীদের 

>> এছাড়া মাছের ডিম খেলে হাড় ও দাঁত ভালো থাকে।
>> গবেষণায় আরও দেখা গেছে, ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে মাছের ডিম।
>> এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও মাছের ডিমের কোনো জুড়ি নেই।

তাই কোনো শারীরিক অসুস্থতা না থাকলে নিয়মিত মাছের ডিম খেতে পারেন। তবে এর কিছু সমস্যাও আছে। এই বিশেষজ্ঞের মতে, মাছের ডিম খাওয়ার কারণে কিছু অসুখও পিছু নিতে পারে।

তিনি জানান, মাছের ডিমে থাকে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম। তাই মাছের ডিম নিয়মিত খেলে ব্লাড প্রেশার বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে। এছাড়া এতে কোলেস্টেরলও বেশি থাকে। যা শরীরে ক্ষতিকর এলডিএল বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন: ফ্যাটি লিভারের যে গুরুতর লক্ষণ দেখা দেয় ত্বকে 

মাছের ডিম কারা খাবেন আর কারা নয়?

কারও যদি ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার, কোলেস্টেরল বা হার্টের অসুখ থাকে তাহলে অবশ্যই মাছের ডিম খেতে হবে পরিমাণ বুঝে। না হলে রোগভোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

তাই এ ধরনের অসুখ মাসে দুইবারের বেশি মাছের ডিম না খাওয়াই ভালো। আর যাদের কোনো রোগ-ব্যাধি নেই, তারাও সপ্তাহে দুইবারের বেশি মাছের ডিম খাবেন না। এই নিয়মটা মেনে চললেই সুস্থ থাকতে পারবেন।

আরও পড়ুন: অ্যালার্জিতে ভুগছেন কি না বুঝে নিন লক্ষণে 

আর মাছের ডিম রান্নায় বেশি তেল ব্যবহার করবেন না। এতে তেমন উপকার মিলবে না। তাই এক্ষেত্রে কম তেলে মাছের ডিম ভেজে নিতে হবে। এক্ষেত্রে ননস্টিক কড়াই ব্যবহার করুন। এই ধরনের কড়াইতে রান্না করলে ভাজার সময় তেল লাগে কম।

সূত্র: ভেরি ওয়েল ফিট

জেএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।