দাদ কেন হয়? চুলকানি থেকে মুক্তি মিলবে যেভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৫৮ পিএম, ১৬ জুন ২০২৩

দাদ একটি চর্মরোগ। অতি পরিচিত একটি ফাঙ্গাল ইনফেকশন বা সংক্রমণ এটি। শরীরের বিভিন্ন স্থানে যেমন- হাত, পা, পিঠ, পায়ের আঙুল, হাতের আঙুল ও মাথার তালুতেও দাদ হয়।

এটি খুবই সংক্রামক এক ব্যাধি। খুব সহজেই দাদ একজনের থেকে অন্য জনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। দাদ হলে ত্বকের উপর গোলাকার দাগের সৃষ্টি হয়। দেখলে মনে হবে ত্বকের উপর আলাদা এক স্তর পড়েছে।

আরও পড়ুন: বর্ষায় দাদ-অ্যাকজিমাসহ বিভিন্ন চর্মরোগ থেকে বাঁচার উপায় 

আক্রান্ত স্থানে চুলকানি হয় ও আঁশের মতো উঠতে থাকে। দাদ হলে দ্রুত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এই সমস্যা সমাধানে অ্যান্টি ফাঙ্গাল ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি কয়েকটি উপাদান ব্যবহার করে দ্রুত দাদ ও এর থেকে সৃষ্ট চুলকানি সারিয়ে তুলতে পারেন।

নারকেল তেল

দাদ যেহেতু একটি ফাঙ্গাল ইনফেকশন, তাই সংক্রমণ রোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে নারকেল তেল। কারণ এতে থাকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপারটিস। এছাড়া নারকেল তেল ত্বকের চুলকানি বা জ্বালা-পোড়া কমাতেও সাহায্য করে।

jagonews24

অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরাও কিন্তু দাদ নির্মূল করতে পারে। ভালো কোনো আয়ুর্বেদিক ব্র্যান্ডের অ্যালোভেরা জেল নিয়মিত সংক্রামিত জায়গায় লাগান। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই দাদ সেরে যাবে।

আরও পড়ুন: দাদের চুলকানি ও ক্ষত সারানোর ৫ ঘরোয়া উপায় 

হলুদ

অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণসমৃদ্ধ হলুদ ব্যবহারেও দাদ থেকে নিস্তার মিলবে। এজন্য হলুদ বাটা দাদের স্থানে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত হলুদ ব্যবহারে দ্রুত সারবে দাদ।

করোল্লার পাতা

করোল্লা যেমন স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। ঠিক তেমনই এর পাতাও উপকারী। জানেন কি করোল্লার পাতা ব্যবহারেও সারানো যায় দাদ। নিম পাতার মতো করোল্লার পাতাও বেটে নিয়ে নিয়মিত দাদ সংক্রামিত অংশে লাগান। কয়েকদিনের মধ্যেই এই ফাঙ্গাল ইনফেকশন থেকে মুক্তি পাবেন।

আরও পড়ুন: পা ঘেমে আঙুলের ফাঁকে ঘা হলে দ্রুত যা করবেন 

রসুন

দাদ সারাতে রসুনও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এজন্য দুই কোয়া রসুন থেঁতো করে দাদের উপরে নিয়ম করে লাগান। রসুন যে কোনো ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর করতে পারে।

সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে

জেএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।