দুধ চা পান করলে শরীরে যা ঘটে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:২৭ পিএম, ২১ মে ২০২৩

চা পান করতে সবাই কমবেশি পছন্দ করেন। চা বহুল প্রচলিত একটি পানীয়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে সারাদিন হয়তো অনেকবার চা পান করেন অনেকেই।

চাপ্রেমীদের তো চা ছাড়া একটি দিনও কাটে না। আবার অনেকেরই পছন্দ দুধ চা। তবে দুধ চা কিন্তু শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়।

আরও পড়ুন: চা পাতায় ভেজাল আছে কি না পরীক্ষা করার ৩ উপায়

এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ শামসুন নাহার তাহিরা বলেন, ‘চা পান করা অনেকটা অ্যাডিকশনের মতো। মাত্রাতিরিক্ত চা পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।’

যদিও চা পানীয় হিসেবে স্বাস্থ্যকর ও উপকারী। তবে এতে কনডেন্স মিল্ক, দুধ, চিনি দিয়ে পান করাটা স্বাস্থ্যকর নয় বলে জানান এই পুষ্টিবিদ।

তিনি আরও বলেন, ‘চায়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। দুধ-চিনি ছাড়া রং চা খেলে এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সম্পূর্ণ পায় শরীর। তবে যখন এতে চিনি, দুধ, কনডেন্স মিল্ক মেশানো হয়, তখন চায়ে থাকা ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দুধে থাকা কেজিন প্রোটিনের সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটায়।’

আরও পড়ুন: যে চা পান করলে বাড়বে আয়ু, সারবে কঠিন রোগ! 

‘ফলে চা তার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণাগুন হারায় ও অন্যদিকে দুধ হারায় তার প্রোটিন গুণাগুন। এতে করে চা অ্যাসিডিক হয়। ফলে শরীরে প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন হয়। চিনি ও কনডেন্স মিল্ক যোগ করার মাধ্যমে ক্ষতিটা আরও বেশি হয়।’

দুধ চা খেলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানান এই পুষ্টিবিদ। তার মধ্যে অন্যতম হলো- কোষ্ঠকাঠিন্য, ওজন বেড়ে যাওয়া, অনিদ্রা, পেট ফাঁপা, হজমে সমস্যা হওয়া, রক্তচাপ ওঠা নামা করা, ব্রণ ও স্ট্রেস।

এছাড়া দুধ চায়ে কোনো পুষ্টি গুণাগুনও থাকে না। তাই দুধ চা না খাওয়াই ভালো। দুধ চা এর বদলে গ্রিন টি, ব্ল্যাক টি, রং চা, আদা চা বা হারবাল চা পান করার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদ।

আরও পড়ুন: দিনে কয় কাপের বেশি চা পান করা ক্ষতিকর? 

আজ আন্তর্জাতিক চা দিবস। প্রতিবছর ২১ মে পালিত হয় দিবসটি। জানলে অবাক হবেন, বিশ্বের জনপ্রিয় এই পানীয় প্রতি সেকেন্ডে ২৫ হাজার মানুষ পান করেন। যার অর্থ প্রতিদিন দুই বিলিয়ন কাপেরও বেশি চা পান করা হয়।

জেএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।