নেচারোথেরাপিতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ


প্রকাশিত: ০৭:২৭ এএম, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আমাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে গেলে আমরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হই। রক্তে ইনসুলিন ও হরমোনের উৎপাদন রক্তে কমে গেলে ডায়াবেটিস শরীরে ঝেঁকেয়ে বসে। তাছাড়া কর্মহীন জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, ধূমপান ও মদকাসক্তির মতো বদভ্যাসের ফলেও ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। এই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে প্রথমেই জানতে হবে, আপনি ঠিক কতোটা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সেই অনুযায়ী নিজের খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের বদঅভ্যাসকে পরিত্যাগ করতে হবে। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি নেচারোথেরাপির সাহায্যে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এবার জেনে নেওয়া যাক নেচারোথেরাপির মাধ্যমগুলো :

হাইড্রোথেরাপি:
নেচারোথেরাপির এ মাধ্যমটি ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকর। এইক্ষেত্রে গরম পানিতে রোগীকে গোসল করতে হবে। তবে বাথটবে গোসল করলে সবচেয়ে ভালো হয়। কুসুম কুসুম গরম পানি মেটাবলিজমকে বাড়িয়ে দেয় ও রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। শরীর যাতে গ্লুকোজ মলিকিউলগুলিকে ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারে। এছাড়া এই থেরাপির ফলে শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন বেরিয়ে যায়।

Haidro-tharipi

শরীরচর্চা ও হাঁটা:
ডায়াবেটিস আক্রান্তদের রোজ অন্তত ৪৫ মিনিট হাঁটলে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেই সঙ্গে এতে কওে শরীরে ইনসুলিনের সমতা বজায়। অন্যদিকে প্রত্যেকদিন এভাবে শরীরচর্চা করলে দেহ মন দুটোই ভালো থাকে।

walking

মাড থেরাপি:
এই থেরাপির সাহায্যে ডায়াবেটিস সহজে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। মাড থেরাপির মাধ্যমে শরীরের সমস্ত টক্সিন বেরিয়ে যায়। এমনকি  হজম প্রক্রিয়াও অনেক সহজ হয়ে যায়।

mad-tharip

ডায়েট থেরাপি:
সুষম খাবারের মধ্যে সঠিক পরিমাণে শাক-সবজি, ফল, দানা শস্য, স্প্রাউট ইত্যাদি রাখতে হবে। এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে কাঁচা ফল বা সবজি খেতে হবে। শশা, জাম, করলা ইত্যাদির রস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

daity-tharipy

ক্রোমোথেরাপি:
এর সাহায্যে অনেক সহজে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সাধারণত সবুজ, হলুদ ও কমলা রঙের খাবারের ঘাটতি হলে ডায়বেটিস হতে পারে। এই থেরাপির মাধ্যমে এই রংগুলিকে শরীরে দিয়ে দেওয়া হয়। সবুজ রং থাইরয়েড গ্রন্থিকে নিয়ন্ত্রণ করে। অগ্ন্যাশয়কে হলুদ রং নিয়ন্ত্রণ করে।

cromo-tharapi

যোগ ব্যায়াম:
এ ব্যায়ামের ফলে অগ্ন্যাশয়, লিভারের সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায় ও হজম শক্তি ভালো হয়। হলাসন, পবনমুক্তাসন, মেরুদণ্ডসন, পদ হস্তাসন, বজ্রাসন, সূর্য নমস্কার, চক্রাসন, ময়ূরাসন, ত্রিকোণাসন, মৎস্যাসন, ভূজঙ্গাসন ইত্যাদি ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা অবশ্যই অভ্যাস করুন।

jogo-baim

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।