চুল পড়া থেকে মুক্তি পেতে ৫ খাবার


প্রকাশিত: ০৬:৩৭ এএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৪

শীতকাল মানেই রুক্ষতা। ত্বকে মশ্চারাইজার না মাখলে বাইরে বোড়োনোই দায়। কিন্তু শীত কালে ত্বকের পাশাপাশি রুক্ষ হয়ে যায় চুলও। এই সময়েই দেখা যায় চুল পড়ার সমস্যা। কিন্তু চুল পড়ার জন্য কেবলই যে আবহাওয়া দায়ী তা কিন্তু একেবারেই নয়। খাবারের দিকে খেয়াল না রাখলেও হতে পারে এই সমস্যা। পুষ্টিকর খাবারের সাহায্যে চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাই জেনে নিন পাঁচটি খাবারের সম্পর্কে যেগুলি চুলকে গোড়া থেকে মজবুত রাখে ও চুল পড়ার সমস্যা থেকে বাঁচায়-

ডিম
বায়োটিন ও ভিটামিনে ভরপুর ডিম চুলের গ্রোথ ও স্বাস্থের জন্য খুবই ভালো। ডিন খাওয়ার পাশাপাশি এতে অলিভ ওয়েলের সঙ্গে মিশিয়েও চুলে লাগান যেতে পারে। ২টি ডিমের সঙ্গে চার চামচ অলিভ ওয়েল মিশিয়ে নিন। পাতলা পেস্টের মত করে মিশিয়ে এটি চুলে লাগান। এতে চুলের গোড়া মজবুত হবে ও চুল পড়া বন্ধ হবে।

পালং শাক
আয়রন ও ফোলেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল পালং শাক। এটি চুলকে বেড়ে উঠতে সাহায্য কগরে। এর পাশাপাশি ফোলেট লোহিত রক্ত কণিকা তৈরিতেও সাহায্য করে। এতে চুলে অক্সিজেন পৌঁছয়। খাবারের তালিকায় এই কারণেই পালক শাক রাখার চেষ্টা করুন।

ক্যাপসিকাম
লাল, হলুদ ও সবুজ রঙের ক্যাপসিকামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এটি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি লোহিত রকণ কণিকাতেও আয়রনের মাত্রা লাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন সিয়ের ঘাটতির ফলে চুলের রুক্ষতা বেড়ে যায় ও চুল তাড়াতাড়ি পড়ে যায়।

মুশুর ডাল
তোফু, সয়াবিন ও মটর নিরামিশাষিদের আয়রন ও প্রেটিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এই সবকটি খাবারই চুলের স্বাস্থ্যের জন্যেও ভীষণ জরুরী।

মিষ্টিআলু
ভিটামিন ও বিটা ক্যারোনটিনে ভরপুর মিষ্টিআলু চুলের গ্রোথের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। এছাড়াও গাজর ও লাউতেও প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন থাকে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।