পায়ের পাতায় ব্যথা হওয়া যেসব রোগের ঝুঁকি বাড়ায়
পায়ের পাতায় বিভিন্ন কারণে যন্ত্রণা হতে পারে। তবে আঘাত না লাগা সত্ত্বেও যদি পায়ের পাতায় দীর্ঘদিন ধরে যন্ত্রণা হয় তাহলে সতর্ক হতে হবে। কারণ এটি হতে পারে বিভিন্ন রোগের লক্ষণ।
বিশেষ করে পেশাগত কারণে যারা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করেন, তাদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখঅ দেয়। এর থেকে পায়ে ব্যথা, কোমরে চাপ এমনকি নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়।
পায়ে ব্যথার কথা শুনতে যতটা সামান্য মনে হয় আসলে এটি কিন্তু হতে পারে গুরুতর সমস্যা। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ নানা জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
আরও পড়ুন: কাঁধে-পায়ে ভীষণ যন্ত্রণা, ওমিক্রন বিএফ.৭ এর লক্ষণ নয় তো?
চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মী, ইঞ্জিনিয়ারসহ দোকানে বা শপিং মলে কর্মরতরা প্রতিদিন ৮-১০ ঘণ্টা টানা দাঁড়িয়ে থাকেন। তাদের মধ্যে পায়ের পাতায় তীব্র ব্যথা ও যন্ত্রণার লক্ষণ বেশি দেখা দেয়। িএক্ষেত্রে যেসব সমস্যার সৃষ্টি হয় জেনে নিন-
১. এসব ক্ষেত্রে শিরদাড়ার উপরে খুব চাপ পড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, লাম্বার স্পাইনে ক্রনিক ব্যথা হচ্ছে। ওই ব্যথা ক্রমশ পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
২. পায়ের তলার স্নায়ুগুলোতে চাপ পড়ার কারণে পায়ের পাতায় তীব্র ব্যথা হতে পারে। ভালো জুতো না পরলে এই সমস্যা আরও বাড়ে।
আরও পড়ুন: শীতে আঙুলের আশপাশে চামড়া ওঠা বন্ধে যা করবেন
পায়ের পাতায় যে কার্ভ আছে, তাকে বলা হয় আর্চ অব দ্য ফুট। যারা সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন, তাদের ওই আর্চের উপরে অসম্ভব চাপ পড়ে।
তার থেকে পায়ের তলার নার্ভে চাপ পড়ে ক্রনিক যন্ত্রণা শুরু হয়। যাদের ফ্ল্যাট ফুট অর্থাৎ আর্চ নেই, তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা আরও বেশি।
৩. দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করলে ভ্যারিকোস স্নায়ুর মতো সমস্যাও দেখা দেয়। এক্ষেত্রে পায়ের ধমনির ভাল্ভগুলো অকেজো হয়ে যায়। এতে রক্ত পায়ের শিরায় এসে জমতে থাকে ও শিরাগুলো দড়ির মতো ফুলে যায়।
একেই ভ্যারিকোস ভেন বলা হয়। অনেক সময়ে শিরাগুলো এমনভাবে জুড়ে যায় যে, পা ফুলতে শুরু করে ও তীব্র ব্যথা হয়।
আরও পড়ুন: নখের চারপাশে ব্যথা ও ফোলাভাব হতে পারে ইনফেকশনের লক্ষণ
৪. সাইটিক নার্ভের কারণে কোমর থেকে পা পর্যন্ত ব্যথা হয়। দাঁড়িয়ে কাজ করলে এই স্নায়ুর উপরেও চাপ পড়ে। আর পেশি শক্ত হয়ে গেলেই ব্যথা হয়। স্ট্রেচিং ব্যায়াম করলে অবশ্য এই সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।
সমস্যা এড়াতে কী করবেন?
প্রথমেই নজর রাখতে হবে চিকিৎসকরা নরম সোলের স্নিকার্স জুতো পরার পরমর্শ দেন। সিলিকন সোল কিনতে পাওয়া যায়। সেটি খুব সহজেই জুতার মধ্যে ফিট করে নিতে পারেন।
এছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা করতেই হবে। পায়ের রক্ত সঞ্চালন ঠিক করতে হস্ট্রেচিং, সাইক্লিং এর মতো ব্যায়াম নিয়ম করুন।
আর পায়ে যদি অসহ্য যন্ত্রণা করে তাহলে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন। ক্লান্তিও কাটবে আর পায়ের পাতার পেশিগুলোও আরাম পাবে।
সূত্র: এভরিডেহেলথ
জেএমএস/জিকেএস