৫ মিনিটে শাড়ি পরবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২২ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০২২

বাঙালি নারীরা শাড়ি পরতে খুবই পছন্দ করেন। বিশেষ করে বিভিন্ন উৎসব-আয়োজনে শাড়ি পরেন কমবেশি সব নারীই। তবে শাড়ি পরা খুব একটা সহজ কাজ নয়। অনেকেই শাড়ি পরতে গিয়ে ঝক্কি পোহান।

তবে জানলে অবাক হবেন, ৫ মিনিটের মধ্যেই পরা যায় শাড়ি। তবে এর জন্য জানতে হবে কায়দা। কোন নিয়ম মেনে চললে আপনি ৫ মিনিটেই শাড়ি পরতে পারবেন তা জেনে নিন-

শাড়ি পরার প্রথম ধাপে পেটিকোট ও ব্লাউজ পরে নিতে হবে। শাড়ির সঙ্গে মানানসই ব্লাউজ পরুন। ব্লাউজ খুব ঢিলেঢালা আবার খুব বেশি টাইট যেন না হয়।

দ্বিতীয় ধাপে আপনি সময় পাবেন ২ মিনিট। এ সময়ে শাড়ির ঝুল ঠিক করে নিতে হবে। খুব উঁচু বা নিচু করে শাড়ি পরবেন না। প্রথম অংশটি কোমরে পেটিকোটের মধ্য়ে গুঁজে নিন। এর জন্য আগে হিল বা উঁচু জুতো পরে নিন।

এবার শাড়িটি ঘুরিয়ে ধীরে ধীরে আঁচলের অংশটুকু বুঝে নিন। আঁচলের কতটা ঝুল রাখবেন, তা ঠিক করে নিন। এ সময় খেয়াল রাখবেন আঁচল যেন খুব বেশি ছোট না হয়। তাহলে আপনার উচ্চতা কম মনে হবে।

আবার আঁচল খুব লম্বা হলেও তা পায়ের নিচে পড়বে। তাই চেষ্টা করুন হাঁটু পর্যন্ত শাড়ির আঁচলের ঝুল রাখার।

তৃতীয় ধাপে শাড়ির কুঁচি দেওয়ার পালা। এটিই সবচেয়ে কঠিন বলে মনে করেন অনেকে। তবে সামান্য কৌশল জানলে খুব বেশি সময় লাগবে না। শাড়ির আঁচল ঠিকঠাক করা হয়ে গেলে এবার কুঁচির দিকে মন দিতে হবে।

বাম দিক থেকে কুঁচি করবেন না, ডান দিক থেকে কুঁচি দিন। এতে কুঁচিও ঠিকঠাক জায়গায় থাকবে। কুঁচি করা হয়ে গেলে অতিরিক্ত অংশ কোমরে গুঁজে নিতে হবে।

কুঁচি কোমরে গুঁজে ডানদিক ঘেঁষে কুঁচি রাখার চেষ্টা করুন। নিচের কুচিগুলো হাত দিয়ে চেপে ভাঁজগুলো সোজা করে নিন।

কুঁচি নাভির নীচে না করাই ভালো। আবার নাভির খুব উপরেও কুঁচি করবেন না। খেয়াল রাখবেন, কুঁচি যেন নাভির ঠিক উপরেই থাকে।

সবশেষ ধাপে এক মিনিটেই আপনি শাড়ি পরা শেষ করতে পারবেন। এই ধাপে শাড়ির বিভিন্ন স্থানে সেফটিপিন লাগিয়ে নিন। সেফটিপিন ব্যবহার করতে হবে সতর্কভাবে।

আঁচল ঠিক রাখতে ব্লাউজের সঙ্গে একটি সেফটি পিন দিয়ে আঁচল সেট করে নিন। কুঁচি ঠিক রাখার জন্য সেখানেও একটি সেফটি পিন লাগিয়ে নিন।

জেএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।