সহজেই কমান অতিরিক্ত মেদ


প্রকাশিত: ০৪:৩৫ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

একটু অনিয়ম বা অচেতনতার কারণে আমাদের শরীরে জমতে পারে অতিরিক্ত মেদ। অতিরিক্ত মেদ নিয়ে সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। আগে থেকে খেয়াল না থাকলেও মেদ জমার পর কিন্তু অনেকেরই টনক নড়ে। আর তখন এই মেদ তাড়াতে নানারকম প্রচেষ্টাও করে থাকে। তাই চলুন জেনে নিই, শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে করণীয়-

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা গড়ে ৪-৫ ঘন্টা ঘুমান বা যাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয়না তাদের রয়েছে মেদ জমার আশংকা আবার যারা ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঘুমান তাদেরও স্থূল আকৃতির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মেদ নিয়ন্ত্রনে রাখতে হলে ৮ ঘণ্টার কম বা বেশি ঘুমানো যাবে না।

হাঁটা সর্বোৎকৃষ্ট ব্যায়াম তাই আপনি যদি প্রতিদিন ৩০-৪০ মিনিট হাঁটেন (জোরে হাঁটতে পারলে ভালো) তাহলে আপনার বাড়তি ক্যালোরি বার্ন হবে এবং সাথে সাথে মাংসপেশিও মজবুত হবে। হাঁটার পাশাপাশি দৌড়ানো, বাগান করা, লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করা, ইয়োগা করা অর্থাৎ কায়িক পরিশ্রম হয় এমন কাজ করলেও শরীর ফিট থাকবে এবং বাড়তি মেদ ঝরে পড়বে। পাশাপাশি সাইক্লিং বা সাঁতার কাটতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।

খাবার গ্রহণের সময় অবশ্যই চর্বি ও তেল জাতীয় খাবার তুলনামূলকভাবে কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন এবং সুষম খাবার যেমন অঙ্কুরিত ছোলা, আঁশ জাতীয় খাবার, সবুজ ফল ও শাক-সবজি নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখবেন। বাইরের ভাজা-পোড়া খাবার বা ফাস্টফুড এড়িয়ে চলবেন। খাবারের শুরুতে এবং খাবারের শেষে অন্তত দুই গ্লাস পানি পান করবেন, এতে করে পানি দিয়ে পেট ভর্তি থাকলে আপনার খাবারের পরিমাণ ঠিক থাকবে এবং বেশি খাবার খেয়ে ক্যালোরি জমার ভয়ও থাকবে না।

মানসিক চাপ অনেক সময় শরীরের উপরও পরে। অনেক ক্ষেত্রে মানসিক চাপ বা উদ্বেগ বৃদ্ধির সাথে সাথে ওজনও যেন পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে। কারণটা আর কিছু নয় মানসিক অবসাদ বা নিয়ম মেনে চলার প্রতি অনীহা। তাই যখন আপনি মানসিক চাপের মধ্যে থাকবেন তখন বাসায় বসে কিছু ছোটখাটো ইয়োগা প্র্যাকটিস করতে পারেন অথবা হালকা মিউজিক ছেড়ে অ্যারোবিক্সও করতে পারেন। মন খুলে হাসার চেষ্টা করবেন এবং ভালো চিন্তা করবেন তাহলে মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যাবে ও শরীরের উপরও এর প্রভাব পড়বে না।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।