সাধারণ কাশি নাকি হাঁপানিতে ভুগছেন বুঝবেন যে লক্ষণে
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সর্দি-কাশির সমস্যা ছোট-বড় সবার মধ্যেই দেখা দেয়। তবে সাধারণ সর্দি-কাশি কিংবা শ্বাসকষ্ট কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়।
বিশেষ করে বেশ কয়েকদিন ধরেই কাশি, শ্বাসকষ্ট কিংবা বুকে চাপ ধরে থাকার সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক থাকুন। কারণ এসব সমস্যা হতে পারে হাঁপানির লক্ষণ।
সাধারণ কাশি কিংবা শ্বাসকষ্ট ভেবে অনেকেই এড়িয়ে যান হাঁপানির মতো মারাত্মক সমস্যাকে। আপনারও যদি হাঁপানির লক্ষণ সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা না থাকে, তাহলে জেনে রাখুন প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে-
শ্বাসকষ্ট
হাঁপানির প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শ্বাসকষ্ট। যখন-তখনই হতে পারে শ্বাসকষ্ট। যখন শ্বাসনালি স্ফীত ও সংকীর্ণ হয়ে যায়, তখন শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। ফলে ফুসফুসে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন চলাচল করতে পারে না ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
বুকে শোঁ শোঁ শব্দ
প্রদাহের কারণে যখন শ্বাসনালি সংকুচিত হয়ে যায় তখন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে যায়। এ সময় শরীর প্রয়োজনীয় পরিমাণে অক্সিজেন গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়। আর এ কারণেই বুকে শোঁ শোঁ শব্দ হয় শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময়।
কাশি
হাঁপানির অন্যতম লক্ষণ হলো কাশি। ধুলা-বালি, কুয়াশা, ধোঁয়ার কারণে হাঁপানির ঝুঁকি বাড়তে পারে। যখন এই মাইক্রো-পার্টিকেল শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে, তখনই জ্বালা ও প্রদাহ হয়। ফলে কাশি বাড়ে।
এমনকি হাঁপানির ফলে কাশি হলে তা সহজে সারতে চায় না। শীতকালে এমন রোগীদের কাশির সমস্যা আরও বাড়তে পারে। হাঁপানির কারণে হওয়া গুরুতর কাশির সমস্যাকে কফ-ভ্যারিয়েন্ট অ্যাজমা বলা হয়।
বুকে চাপ ধরা
হাঁপানির আরও একটি লক্ষণ হলো বুকে চাপ ধরার অনুভূতি। এক্ষেত্রে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হয় ফলে বুকের মধ্যে টান বাড়ে ও চাপাভাব অনুভব হয়।
দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া
দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়াও হাঁপানির আরও একটি লক্ষণ। এর ফলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। শ্বাসকষ্টের সময় ফুসফুস থেকে সম্পূর্ণরূপে বাতাস বেরিয়ে যায়, ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেই দ্রুত শ্বাস নিতে বাধ্য হন।
এসব লক্ষণ ছাড়াও কথা বলতে সমস্যা, দুশ্চিন্তা কিংবা অস্থিরতা, অত্যাধিক ঘাম ও ঠোঁট নীল হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ হাঁপানির ইঙ্গিত দেয়। এসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
জেএমএস/জেআইএম