হৃদস্পন্দনের হার জানান দেবে আপনি সুস্থ আছেন কি না

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৩৩ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

কোনো কারণ ছাড়াই হার্টবিট বেড়ে যাওয়া কিংবা কমে যাওয়ার লক্ষণ কিন্তু শাররিক বিভিন্ন সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। বিশেষ করে হৃদস্পন্দনের অস্বাভাবিক হার হৃদরোগের প্রাথমিক লক্ষণ।

ক্লান্তি, ঝিমুনি, বুক ধড়ফড় করা, শ্বাসকষ্ট সবই হৃদরোগের লক্ষণ। তাই শরীর কেমন আছে তা বুঝতে হৃদস্পন্দনের হারের দিকে লক্ষ্য রাখুন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে হৃদস্পন্দনের হার স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি মিনিটে ৭২ বার। তবে হৃদস্পন্দনের হার কিছু ক্ষেত্রে বেশি বা কম হতে পারে।

তবে ব্যক্তিভেদে প্রতি মিনিটে হতে পারে ৬০-১০০ বারও। যারা খেলাধুলা কিংবা শরীরচর্চা করেন তাদের হৃদস্পন্দনের হার অপেক্ষাকৃত কম হয়।

স্বাভাবিকের তুলনায় কম বা বেশি হৃদস্পন্দনের হার একাধিক অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হৃদস্পন্দনের হার কম হওয়ায় পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে।

আসলে হৃদযন্ত্রের যে অংশ হৃদস্পন্দনের উৎস তাকে সাইনো অ্যাট্রিয়াল নোড বলে। এই অংশ ঠিকভাবে কাজ করতে না পারলে হৃদস্পন্দনের হার কমে যেতে পারে। যা হৃদরোগের অন্যতম লক্ষণ।

শুধু হৃদযন্ত্রের সমস্যাই নয়, টাইফয়েড কিংবা থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যাতেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে। আবার রক্তে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গেলেও হৃদযন্ত্রে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শুধু হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়াই নয় বরং এর হার কমে যাওয়াও বিপদের সংকেত দেয়। রক্তাল্পতা ও হাঁপানির মতো সমস্যাতেও বেড়ে যেতে পারে হৃদস্পন্দন।

বিশ্বে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর কারণ হলো হৃদরোগ। তাই এ ধরনের সমস্যা কখনো অবহেলা করবেন না। যদি হৃদস্পন্দনের হার হঠাৎ বেড়ে বা কমে যায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সূত্র: হেলথলাইন/সিনেট

জেএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।