জিরার উপকারিতা


প্রকাশিত: ০৪:৪০ এএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৬

মশলা হিসেবে জিরা সুপরিচিত। রান্নার স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়াতে জিরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জিরার রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। সুগন্ধি এই মশলাটি আমাদের নানা অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নিই-

জিরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন। আয়রন শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে, শরীরে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি মাধ্যমে সেলুলার স্তরে অক্সিজেনের পরিমান বৃদ্ধি করে।

জিরা পাচনতন্ত্রের জন্য খুবি উপকারী। বদহজম, ডায়রিয়া, পেট ফাঁপা প্রভৃতি রোগ উপসমে জিরার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। জিরা বমি বমি ভাব দূর করে। জিরা পাকস্থলির এসিড উৎপাদন করে খাদ্য থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টি লাভে সহায়তা করে।

গবেষণায় পাওয়া গেছে জিরাতে আছে শক্তিশালী ক্যান্সার বিরোধী বৈশিষ্ট্য। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে এটা পেট ও লিভার ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব রাখতে পারে। জিরাতে বিদ্যমান এন্টি-ফ্রির্যা ডিকেলস উপাদান ক্যান্সারের বিস্তার রোধ করে।

লাল লাল ফুসকুড়ি, ব্রণ ইত্যাদি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয়ার জন্য হয়। বিপাক ক্রিয়ার মাধ্যমে শরীর থেকে দূষিত পদার্থগুলো বের হয়ে গেলে ত্বকের উপর এর প্রভাব কমে আসে। জিরা পাচনতন্ত্রের যত্ন নেয়ার মাধ্যমে ত্বকের সুরক্ষাও দিয়ে থাকে।

জিরা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। কিডনি ও লিভারের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিয়ে বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়। এতে শরীর থেকে দূষিত পদার্থগুলো বের হয়ে যেতে পারে। ফলে বিভিন্ন রোগের সংক্রমন থেকে শরীর পায় সুরক্ষা।

এছাড়াও দুর্বল স্মৃতি, পোকামাকড়ের কামড় ও কাঁটা ফোটা বেদনার চিকিত্সায় জিরা উপকারী। তাই যত তাড়াতাড়ি পারেন আপনার প্রতিদিনের খাদ্যে কিছু জিরা যোগ করুন।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।