বর্ষায় দাড়ি চুলকানি বাড়ে কেন? সারানোর উপায় জানুন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪১ এএম, ১৫ জুলাই ২০২২

অনেকেই এখন দাড়ি বড় করেন। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু স্টাইলের দিক দিয়েই নয় বরং বড় দাড়ি ত্বকের জন্যও নাকি উপকারী। কারণ দাড়ির কারণে সারাসরি কোনো ময়লা ত্বকে পৌঁছাতে পারে না। এতে ত্বকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা পায়।

বড় দাড়ির ক্ষেত্রে চুলকানির সমস্যা অনেকেই ভোগেন। তবে দাড়ি চুলকায় কেন? যদিও অনেক কারণেই দাড়ির চুলকানি হতে পারে, যার মধ্যে অন্যতম হলো- অপরিচ্ছন্নতা, শুষ্ক ত্বক, ব্রণ হওয়া কিংবা বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে দাড়ির অত্যধিক সাজসজ্জা ইত্যাদি।

বর্ষা মৌসুমে ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণেও হতে পারে দাড়ি চুলকানি। তাই দাড়িতে জমে থাকা তেল, ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে নিয়মিত পরিষ্কার থাকা জরুরি।

দাড়ির চুলকানি প্রতিরোধে কী করণীয় তা জানিয়েছেন ভারতের হরিয়ানার একজন বোর্ড সার্টিফাইড চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ (এমডি, এফএফএডি) ডা. সতীশ ভাটিয়া-

>> দিনে অন্তত একবার গোসল গোসল করুন বা প্রতিদিন হালখ গরম পানি দিয়ে দাড়ি ভালো করে ধুয়ে নিন।

>> দাড়ি প্রাকৃতিকভাবে তৈলাক্ত রাখতে জোজোবা বা আরগান তেলের সাথে বিয়ারড কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

>> যে কোনো প্রসাধনী বা তেল দাড়িতে ব্যবহারেরর সময় প্যাচ টেস্ট করে নিন। কারণ কিছু পণ্য কমেডোজেনিক, যার কারণে ত্বকে ব্রণের সৃষ্টি হতে পারে।

>> দাড়ি কামানো বা ছাঁটাইয়ের পর অবশ্যই ন্যাচারাল আফটার শেভ ওয়াশ বা লোশন ব্যবহার করুন। যেমন- চা গাছের তেল বা অ্যালোভেরা।

>> দাড়ি বড় করার সময় ঘন ঘন তা ছাঁটবেন না। তাহলে দাড়ির ফলিকলের ক্ষতি হতে পারে। আর এ কারণে ত্বকে জ্বালাপোড়া ও চুলকানি অনুভব করতে পারেন।

তারপরও যদি দাড়ির চুলকানি না কমে বা দিন দিন তা বেড়েই চলে তাহলে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

এ বিষয়ে ডা. সতীশ ভাটিয়া জানান, ত্বকের অবস্থার উপর নির্ভর করে চিকিৎসক আপনাকে মলম, ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করার পরামর্ম দিতে পারেন। সাধারণ ওষুধের মধ্যে রয়েছে-

ল্যাকটিক অ্যাসিড ও ইউরিয়া মিশ্রিত মলম বা ক্রিম। এটি শুষ্ক ত্বকের চিকিত্সা করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য মুপিরোসিন (ব্যাকট্রোবান)।

ছত্রাক সংক্রমণের চিকিত্সার জন্য অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম। অসংক্রামক কারণ হলে কর্টিকোস্টেরয়েড ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দিতে পারেন।

যদি চুলকানি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যায়, ঘন ঘন সংক্রমণ ও প্রদাহ ঘটতে থাকে তাহলে একজন চিকিৎসক লেজারের সাহায্যে দাড়ি অপসারণের পরামর্শ দিতে পারেন।

ফটোডাইনামিক (হালকা) থেরাপি হলো আরেকটি চিকিৎসার বিকল্প। এটি চুলের ফলিকলগুলোর সংক্রমণ ও প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কার্যকর হতে পারে।

জেএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।