বিষাক্ত ‘নায়রোবি মাছি’ গায়ে বসলেই পুড়ে যায় ত্বক
করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। এর মধ্যে আবার বর্ষার মৌসুমে বিভিন্ন রোগের উপদ্রবও বেড়েছে। সম্প্রতি ভারেতের সিকিম জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে নায়রোবি মাছির আতঙ্ক। বিষাক্ত এই মাছি ত্বকে সংক্রমণের সৃষ্টি করে।
সিকিম মনিপাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ক্যাম্পাসের প্রায় ১০০ জন পড়ুয়ার ত্বকে এই মাছির কারণে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। যার মধ্যে এক ছাত্রীর অস্ত্রোপচারও করতে হয়েছে।
নায়রোবি মাছির উৎপত্তি কোথায়?
মূলত পূর্ব আফ্রিকায় উৎপত্তি নায়রোবি মাছির। এটিকে কেনিয়ান ফ্লাই বা ড্রাগন পোকাও বলা হয়। খানিকটা গুবরে পোকার মতো দেখতে এই পতঙ্গের দুই প্রজাতি আছে। এক প্রজাতির রং কমলা ও অন্যটি কালো।
বৃষ্টিপ্রবণ অঞ্চলে এরা দ্রুত বংশ বিস্তার করে। যদিও এই নায়রোবি মাছি কামড়ায় না কিংবা হুলও ফোটায় না। তবে শরীরে বসলে ত্বকে জ্বালা ধরায়। ত্বকের উপর নায়রোবি পতঙ্গ বসলে ফ্যাকাসে দাগও হয়ে যায়। তবে এক-দু’সপ্তাহের মধ্যে আবার স্বাভাবিক হয়ে যায় ত্বক।
আসলে এই মাছিগুলো ফসলের ক্ষতি করে এমন পোকা খায়। এ কারণেই এতোটা বিষাক্ত এই মাছি। ত্বকে বসার সময় কড়া ধাঁচের অম্ল নিঃসরণ করে মাছিগুলো, যার প্রভাবে ত্বক পুড়ে যায়।
এই অম্ল ধাঁচের পদার্থটিকে পেডারিন বলা হয়। এটি ত্বকের সংস্পর্শে এলে প্রবল জ্বালা হয়। তার ফলে ত্বক পুড়ে গিয়ে ক্ষত তৈরি হয়।
ত্বকের এই সমস্যা এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে নিরাময় হলেও সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়। তাই এ ধরনের মাছি থেকে সতর্ক থাকতে হবে বর্ষার মৌসুমে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
জেএমএস/জিকেএস