আম খাওয়ার পর যে খাবার খাবেন না

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৬ এএম, ০৩ জুন ২০২২

অডিও শুনুন

বাজারে এখন বাহারি জাতের পাকা আম সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। গরম আসলেই আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুসহ নানা ধরনের ফল খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। তবে আমের কদর ছোট-বড় সবার কাছেই বেশি। এই ফল কাঁচা হোক বা পাকা দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন থাকে যা পরিপাকে সাহায্য করে। এছাড়া ডায়েটারি ফাইবার আছে এতে। যা কোলন ক্যানসার ও হৃদরোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

ফেডারেশন অব আমেরিকান সোসাইটি ফর এক্সপেরিমেন্টাল বায়োলজি সূত্রে জনা যায়, প্রতিদিন একটি করে পাকা আম খেলে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া প্রাকৃতিক শর্করা রক্তে গ্লুকোজ ও ইনসুলিনের সমতা বজায় রাখে।

আম খাওয়ার যেমন অনেক উপকারিতা আছে ঠিক তেমনই এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াও আছে। বিশেষ করে আম খাওয়ার পর কিছু খাবার আছে যেগুলো একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, আম খাওয়ার পর কোন খাবারগুলো ভুলেও খাবেন না-

>> বিশেষজ্ঞদের মতে, আম খাওয়ার পর পানি খাওয়া উচিত নয়। এতে পেটে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। আছে পেটে ব্যথা, বদহজম, পেট ফাঁপা ও অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা। এজন্য আম খাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা পর পানি পান করা উচিত।

>> আম খাওয়ার পর দই খাওয়াও উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আম গরম প্রকৃতির আর দই ঠান্ডা হওয়ায় এই দুটি খাবার একসঙ্গে খেলে স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।

>> আম খাওয়ার পরপরই ঠান্ডা কোমল পাণীয় পানি পান করবেন না। আম ও কোল্ড ড্রিংকসে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। যা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বেশি ক্ষতিকর।

>> করলা শরীরের জন্য অনেক উপকারী হলেও, আম খাওয়ার পরপরই তা খাওয়া উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আম খাওয়ার পর করলা খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়তে পারে। ফলে বমি, বমি বমি ভাব ও শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হতে পারে।

>> আপনার যদি ব্রণর সমস্যা থাকে তাহলে তেল মশলাজাতীয় ও ভাজাপোড়া খাবারের সঙ্গে আম খাবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, আম খেলে পেট গরম হয়ে যায়, ফলে যাদের মুখে ব্রণের সমস্যা আছে তা আরও বাড়তে পারে।

সূত্র: ডিএনএইন্ডিয়া

জেএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।