শীতের সাজ
শীতে মেকআপে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে সহজেই মেকআপের বেইজ ত্বকে বসে যায়। মেকআপের আগে ফেসওয়াশ লাগিয়ে মুখ ধুয়ে ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। এরপর টোনার দিয়ে মুখ ভালো করে মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। লিকুইড ফাউন্ডেশন মুখ-ঘাড়-গলায় ভালো করে ব্লেন্ড করে লাগান। ফাউন্ডেশন দেয়ার পরও মুখে যদি রেখা বা দাগ থাকে, তাহলে কনসিলার ব্যবহার করুন। ফেস পাউডার দিয়ে ফাউন্ডেশনটা বসিয়ে দিন।
এবার চোখের মেকআপ শুরু করুন। পোশাক ও তার রঙের ওপর নির্ভর করে মেকআপ করুন। পোশাকের রঙে বা সম্পূর্ণ ভিন্নরঙা কন্ট্রাস্ট আই শ্যাডোর সঙ্গে গ্লিটার আই লাইনার ব্যবহার করা যেতে পারে। নীল, সবুজ, সোনালি বা রুপালি যে কোনো রঙের আইলাইনারই ব্যবহার করুন। শীতের সাজে চোখের মেকআপটা গাঢ় হয়। সেক্ষেত্রে গাঢ় মাশকারা আর কাজল ব্যবহার করুন।
লিপস্টিকের ক্ষেত্রে শীতের গ্লস বিশেষ উপকারী। দেখতেও সুন্দর আর ঠোঁটকে রাখে সুরক্ষিত। ন্যাচারাল, বাদামি পিচ অথবা গোলাপি লিপগ্লসে ঠোঁট হয় অনন্য। ব্লাশন লাগান চিকবোন বরাবর। ব্লাশন ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন, যেন উগ্র না হয়ে যায়। লিপস্টিক লাগানোর আগে লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁট এঁকে নিন। এরপর লিপব্রাশ দিয়ে লিপস্টিক লাগান। কপালের আকার অনুযায়ী ছোট-বড় টিপ পরতে পারেন।
সময়টা যেহেতু শীতকাল। গরম নেই, তাই চুলের সাজে খুব বেশি চিন্তার কিছু নেই। পছন্দমতো চুলের সাজ নিতে পারেন এ সময়। আপনার সাজ, গেটআপ, মেকআপকে পরিপূর্ণ করতে চুলের স্টাইলের গুরুত্ব সবার আগে। চুলের সাজ পুরো সাজকেই বদলে দিতে পারে। স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে এ সময় চুল ছেড়ে রাখতে পারেন আবার বেঁধেও রাখতে পারেন। অনুষ্ঠান এবং সাজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চুলের স্টাইল নির্বাচন করুন। চুল ছেড়ে রাখতে চাইলে করতে পারেন আয়রন, ব্লো ড্রাই, স্পাইরাল। চুলের দৈর্ঘ্য বাড়াতে চাইলে করতে পারেন এক্সটেনশন। করতে পারেন লম্বা বেণী এবং বিভিন্ন খোঁপা ও ফুলের ব্যবহার।
যেভাবেই সাজুন না কেন, আপনার জন্য কোনটি মানানসই হবে একটু ভেবে তারপরই সিদ্ধান্ত নিন। বুঝতে অসুবিধা হলে হেয়ার এক্সপার্টের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিন। এ সময় সব ধরনের মানানসই গেটআপই নেয়া যায়, যা অস্বস্তির কারণ হবে না।
এইচএন/পিআর