খাওয়ার পর যে কাজ করলেই বশে থাকবে ডায়াবেটিস

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩৭ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২২

ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হলো লাইফস্টাইল বা জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা। নিয়মমাফিক খাওয়া, ঘুম ও শরীরচর্চাই হলো এই রোগ নিয়ন্ত্রণের অন্যতম উপায়।

তবে অনেকেই ডায়াবেটিসে ভুগলেও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনেন না। ফলে হঠাৎ করেই কেখনো বেড়ে যায় ডায়াবেটিস আবার কখনো বা কমেও যায়। আর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ সব অঙ্গেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করে।

তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ উপায় কী জানেন? খাওয়ার পর মাত্র্র একটি কাজের মাধ্যমেই আপনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন ডায়াবেটিস।

আর তা হলো হাঁটাহাঁটি করা। শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত হাঁটার কোনো বিকল্প নেই, এই কথা কিন্তু বারবার মনে করিয়ে দেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকেই সকালে হাঁটার সময় পান না। তারা চাইলে দিনের শেষে খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলেও শরীরের একাধিক সমস্যা দূর হয়।

তাই যারা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তার রাতে খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করার মাধ্যমে কিন্তু সহজেই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।

যারা টাইপ ২ ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তারা যদি খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটেন তাহলে রক্তে শর্করা তৈরিতে প্রভাব পড়ে। খাবার থেকেই রক্তে শর্করা তৈরি হয়।

খাওয়ার হাঁটাহাটি করার সময় যে ক্যালোরির খরচ হয় তার জোগান রক্তের শর্করাই দেয়। তাই হাঁটলে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে না। জেনে নিন রাতে খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলে কী কী সুফল পাবেন?

> খাওয়ার পর নিয়মিত হাঁটাচলা করলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। আর রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকলে স্ট্রোক কিংবা হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের ঝুঁকি কমে।

> খাওয়ার পর হাঁটার অভ্যাস হজমশক্তি বাড়ায়। আবার হাঁটাহাটি করলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ফলে খাবার সঠিকভাবে পাকস্থলীতে যায় ও তা দ্রুত হজম হতেও সাহায্য করে।

> মেদ ঝরাতে চাইলেও রাতে খাওয়ার পর হাঁটার অভ্যাস করুন। হাঁটলে বিপাক হার বাড়ে ফলে ওজনও ঝরে দ্রুত।

সূত্র: হেলথলাইন/ওয়েবএমডি

জেএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।