প্রিয়জনকে কতক্ষণ জড়িয়ে ধরলে মিলবে সুস্থতা?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৪ এএম, ১১ মার্চ ২০২২

ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আলিঙ্গন করা বা জড়িয়ে ধরা হয়। শুধু যে প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা স্বামী-স্ত্রীই একে অন্যকে জড়িয়ে ধরবেন, তা কিন্তু নয়।

মা-বাবা, ভাই-বোন কিংবা বন্ধু-বান্ধব আপনি যাকেই জড়িয়ে ধরুন না কেন এরই মাধ্যমে আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে পারে।

কারণ ইতিবচিক শারীরিক স্পর্শের মাধ্যমে সবারই মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আলিঙ্গনের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে।

যেমন- আলিঙ্গন মানুষের ভয়-ভীতি দূর করে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমায়, হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এমনকি শারীরিক ব্যথাও কমায়। বিভিন্ন গবেষণায় এমনটিই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

৪০ হাজার অংশগ্রহণকারীর উপর করা এক সমীক্ষা থেকে জানা যায়, আলিঙ্গনের মাধ্যমে মেলে স্বস্তি, উষ্ণতা ও ভালোবাসা। তবে ঠিক কতক্ষণ প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে এসব উপকার মিলবে?

বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হলেই আমরা অনেকেই তাকে হাগ করি বা জড়িয়ে ধরি। যা মাত্র ১-২ সেকেন্ডের জন্য হয়ে থাকে। তবে জানেন কি, আলিঙ্গনের সময়কালের উপরও কিন্তু নির্ভর করে আপনি কতটুকু ভালো বা আনন্দ অনুভব করবেন।

একটি গবেষণায় এ বিষয় পরীক্ষা করতে অংশগ্রহণকারীদের ১, ৫ ও ১০ সেকেন্ডের জন্য আলিঙ্গন করেন। ফলাফলে দেখা যায় ১ সেকেন্ডের আলিঙ্গন সবচেয়ে কম আনন্দদায়ক বলে মনে হয়েছিল। যেখানে ১০ সেকেন্ডের আলিঙ্গন সবচেয়ে বেশি আনন্দ দেয় বলে জানা যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আলিঙ্গনের সময়কাল শরীরকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। প্রিয়জনকে আলিঙ্গনের মাধ্যমে ‘সুখী হরমোন’ বা ‘অক্সিটোসিন হরমোন’ উৎপন্ন হয়।

যাকে ‘আলিঙ্গন’ বা ‘প্রেম’ হরমোনও বলা হয়। তাই যত বেশি সময় ধরে আলিঙ্গন করা হয়, তত বেশিই এই হরমোন উৎপন্ন হয়। ফলে আমরা ততটাই আনন্দবোধ করি।

পারিবারিক থেরাপিস্ট ভার্জিনিয়া সাতিরের মতে, প্রতিদিন ৪টি আলিঙ্গন করুন বেঁচে থাকার জন্য। 8টি আলিঙ্গন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। দিনে ১২টি আলিঙ্গন করুন বৃদ্ধির জন্য।

আলিঙ্গনে যেহেতু কোনো অসুবিধা নেই তাই এটি উপেক্ষা করবেন না। বরং প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার মাধ্যমে স্বাস্থ্য ভালো রাখুন।

সূত্র: ব্রাইট সাইড

জেএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।