যে ৫ স্বভাবের পুরুষকে অপছন্দ করেন নারীরা
নারী ও পুরুষ উভয়ের জীবনেই কিছু বদঅভ্যাস থাকতে পারে। তবে বেশ কিছু বদঅভ্যাস যা পুরুষদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। এর ফলে ওই পুরুষের সঙ্গে কোনো নারীই সম্পর্ক বজায় রাখতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাই চায় তার সঙ্গী যেন ভালো স্বভাবের হোক। পুরুষের বেশ কিছু স্বভাবের কারণে নারীরা তাদেরকে অপছন্দ করতে পারেন। এ কারণে অনেক পুরুষই সম্পর্কে জড়াতে পারেন না।
আবার জড়ালেও তা ভেঙে যেতে পারে খারাপ স্বভাবের কারণে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কোন কোন স্বভাবের পুরুষকে অপছন্দ করেন নারীরা-
>> মিথ্যা বলা অত্যন্ত খারাপ অভ্যাস। মাঝে মধ্যে সামান্য কোনো বিষয়ে মিথ্যা বলা সাধারণ বিষয় হলেও, প্রতি মুহূর্তে মিথ্যা বলে মানুষকে বোকা বানানোর অভ্যাস মোটেও ভালো নয়।
মিথ্যা কোনো এক সময় সামনে আসবেই। আর তখনই দেখা দিতে পারে বিরাট সমস্যা। তাই প্রতিটি পুরুষ মানুষকে মিথ্যা বলার অভ্যাস ছাড়তে হবে। কারণ এমন পুরুষকে নারীরা এড়িয়ে চলেন।
>> নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস থাকা ভালো। তাই বলে ওভার কনফিডেন্স কিন্তু ভালো নয়। এ ধরনের মানুষরা অন্যকে ছোট করে দেখেন ও নিজেকে বড় ভাবেন। কথায় কথায় নিজের প্রশংসা করেন।
ফলে তারা স্বভাবতই অপরজনের মনে কষ্ট দিয়ে কথা বলেন। এমন পুরুষকে নারীরা অপছন্দ করেন তাদের স্বভাবের কারণে।
>> সিগারেট থেকে শুরু করে মদ্যপানসহ সব ধরনের নেশা স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। অনেক নারীই এসব বিষয় অপছন্দ করেন। তারা চান না, তাদের পুরুষ সঙ্গী নেশাগ্রস্ত হোক। তাই এমন অভ্যাস থাকলে আজই ছাড়ুন।
>> সবারই নিজ নিজ মতামত থাকে। তবে অনেকেই আছেন যারা নিজের মতামত অন্যের উপর চাপিয়ে দেন সব সময়। এক্ষেত্রে কিন্তু আপনার সঙ্গী নিজেকে ছোট ভাবতে পারেন।
তাই সঙ্গীর কথা ভালো করে শুনুন। সঙ্গীর মতামত না জেনেই যেসব পুরুষ নিজের মতামত ও নিদ্ধান্ত তার উপর চাপিয়ে দেন, সেসব পুরুষকেও অপছন্দ করেন নারী।
>> অতিরিক্ত ভালোবাসাও অনেক সময় সম্পর্ক ভাঙার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এক্ষেত্রে অনেক পুরুষই তার নারী সঙ্গীর বিষয়ে বেশি পজেসিভ থাকেন। নিজের ভালোবাসার মানুষটির বিষয়ে অবশ্যই যত্নশীল থাকবেন, তাই বলে তা যেন বিরক্তি বা চাপের কারণ না হয়ে দাঁড়ায়।
সঙ্গীর জীবনের সব জায়গায় ঢুকে পড়া ঠিক নয়। এক্ষেত্রে তিনি কোথায় যাবেন, কার সঙ্গে মিশবেন সব বিষয় সম্পর্কে বারবার জিজ্ঞাসা করবেন না। তাহলেই দেখা দিতে পারে সমস্যা। এমন পুরুষদের কাছ থেকে নারীরা দূর থাকতে চান।
সূত্র: কসমোপলিটন
জেএমএস/জিকেএস