টাকা না ভলোবাসা কোনটি বেশি চায় মানুষ?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৩ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

অভাব যখন দরজায় এসে দাঁড়ায়, ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়- এমনই কথার প্রচলন আছে। সত্যিই কি তাই? ধরুন আপনার অনেক টাকা-পয়সা, কিন্তু ভালোবাসার মানুষ নেই তখন ধন-সম্পদ দিয়ে কী লাভ!

আসলে টাকা না ভালোবাসার গুরুত্ব বেশি, এ যুক্তি একেকজন ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেন। তবে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, জীবনে সুখী হতে টাকা ও ভালোবাসা দুটোই গুরুত্বপূর্ণ।

১২০০ প্রাপ্তবয়স্কদের উপর সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালায় মার্কিন এক ব্যক্তিগত আর্থিক সফ্টওয়্যার কোম্পানি কুইকেন। এই সমীক্ষার মাধ্যমে জানার চেষ্টা করা হয়, আসলে মানুষের কাছে অর্থ নাকি ভালোবাসার মূল্য বেশি।

এই সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৭৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, আর্থিকভাবে সাবলম্বী হওয়ায় তারা ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গেও সুখী আছেন। অর্থাৎ বেশিরভাগ মানুষই জানিয়েছেন, দাম্পত্য জীবনে ভালো থাকতে অর্থনৈতিক অবস্থাও উন্নত হওয়া জরুরি।

অন্যদিকে সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ জানান, তাদের কাছে অর্থের চেয়ে ভালোবাসার মূল্য বেশি। শতকরা ৭৫ জন বলেছেন, অর্থের লেনদেন করা ভালোবাসার তুলনায় অনেক বেশি কঠিন। আর শতকরা ৩৭ জন মানুষের মতে, সুখী হতে তারা সবকিছু ত্যাগও করতে পারেন।

তবে এই সমীক্ষায় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের মতামত হলো, ভালোবাসা টিকিয়ে রাখতে ও সংসারে সুখ আনতে পর্যাপ্ত অর্থের যোগান থাকা জরুরি। মুখে ভালোবাসার কথা বললেও কার্যক্ষেত্রে কিন্তু টাকাও বেশ গুরুত্ব পায় মানুষের কাছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল এডুকেটরস কাউন্সিলের একটি সমীক্ষা অনুসারে, মাত্র ২১ শতাংশ মানুষ তাদের সঙ্গীর সঙ্গে অর্থ নিয়ে আলোচনা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

নারীদের মধ্যে ৮৭ শতাংশ ও পুরুষদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ বলেছেন, সংসারে সম্পূর্ণ টাকা দিতে মোটেই ভালো লাগে না তাদের।

সঙ্গী তার অর্থের জন্য ভালোবাসুক এটি কখনো চান না ৮৩ শতাংশ নারী ও ৬৭ শতাংশ পুরুষ। অন্যদিকে ৫০ শতাংশ নারী ও ৪০ শতাংশ পুরুষরা ভাবেন, তাদের সংসার চালানোর জন্য কোনো নির্দিষ্ট একজন থাকুক।

এমনকি ৬০ শতাংশ মানুষই জানিয়েছেন অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ মানুষই ভালোবাসার জন্য তাদের প্রথম পছন্দ।

সূত্র: ভ্যালু পেঙ্গুইন

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।