যে ৫ অভ্যাস প্রস্রাবে যন্ত্রণার জন্য দায়ী

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫৮ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২

প্রস্রাব ধরে রাখার অভ্যাস অনেকের মধ্যেই আছে। বাইরে হোক কিংবা অফিস বা ঘরে কর্মব্যস্ততার কারণে অনেকেই মূত্রত্যাগ করতে ভুলে যান।

এর ফলে ইউরেনাল ইনফেকশন মারাত্মক রূপ নিচ্ছে। কারও কারও ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত হতেও দেখা যায়।

এ বিষয়ে ভারতীয় বিশেষজ্ঞ ডা. নিতিকা কোহলি তার ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। তার মতে, প্রতিদিনের কয়েকটি কাজ ও অভ্যাসই প্রস্রাবের নানা সমস্যার মূল কারণ।

অনেক সময় ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন কিংবা শরীরের অতিরিক্ত প্রদাহ মূত্রত্যাগের সময় প্রচণ্ড যন্ত্রণার সৃষ্টি করতে পারে।

দীর্ঘদিন এ সমস্যা থাকলে এর প্রভাবে কিডনি বিকল এমনকি ক্যানসার পর্যন্তও হতে পারে।

তাই প্রথম থেকেই এদিকে নজর রাখতে হবে। এই চিকিৎসক জানান, চিকিৎসার ভাষায় মূত্রত্যাগের সময় অতিরিক্ত যন্ত্রণা বা ব্যথাকে বলা হয় ডাসুরিয়া।

প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা যন্ত্রণা হওয়ার সমস্যা প্রতিদিনের কয়েকটি কারণে হয়। তিনি যে কারণগুলোর কথা বলেছেন, তা হলো-

>> ফিট থাকতে অনেকেই অতিরিক্ত ব্যায়াম করেন। ব্যায়াম করা সবার জন্যই জরুরি, তবে অতিরিক্ত ব্যায়াম আবার শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

বেশিরভাগ সময় তলপেট, বেন্ডিং ও স্পাইনাল জাতীয় ব্যায়ামের ফলে প্রস্রাবে যন্ত্রণা হতে পারে।

>> যাদের পানের নেশা থেকে থাকে, তাদের ক্ষেত্রেও এ সমস্যা হতে পারে। এ কারণে পানের নেশা কমিয়ে ফেলুন।

এ ছাড়াও পানের সঙ্গে ব্যবহৃত সুপারি, ক্ষয়ের কিংবা জর্দা ইত্যাদি খাওয়া একেবারে ভালো না।

>> অতিরিক্ত হাঁটাহাঁটি, গাড়ি চালানো কিংবা ভ্রমণের কারণেও এ সমস্যা হতে পারে। বেশি সাইকেল চালানো কিংবা বাইক চালালেও এই ব্যথা বাড়ে।

>> অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খেলেও প্রস্রাবে যন্ত্রণা হতে পারে। এ ধরনের খাবার শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর।

>> অতিরিক্ত মদ্যপান লিভারের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ঠিক তেমনই এটি ইউরেনাল ইনফেকশনও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এর থেকে প্রস্রাবে যন্ত্রণা হয়।

এসব বিষয়ে সচেতন থাকলেই প্রস্রাবের যাবতীয় সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

জেএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।