কোরিয়ান কে-পপ ডায়েট কি সত্যিই ওজন কমায়?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৫ এএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২২

কোরিয়ানদের ফিটনেস ও তাদের উজ্জ্বল মোলায়েম ত্বকের কদর করে পুরো বিশ্ব। তাদের সংস্কৃতি, ফ্যাশন, সিনেমা, খাদ্যাভ্যাস, গান নিয়ে সের্বদা সবখানেই চর্চা হয়।

বর্তমানে নেট মাধ্যমে যেমন বেশ জনপ্রিয় কোরিয়ান গান, ঠিক তেমনই তাদের সুন্দর ত্বক ও ফিটনেস সম্পর্কে জানার আগ্রহও বেড়েছে বিশ্ববাসীর মনে।

সম্প্রতি নেট মাধ্যমে আলোচনা কিংবা সমালোচনা চলছে কোরিয়ান কে-পপ ডায়েট নিয়ে। ওজন কমানোর নতুন এই পদ্ধতি জানতে আগ্রহী অনেক মানুষ। বলতে গেলে এই কে-পপ ডায়েট একটি ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কী এই কে-পপ ডায়েট পদ্ধতি?

jagonews24

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোরিয়ান কে পপ ডায়েট আসলে সেখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের পদ্ধতি। যাতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান থাকে। তারা এমন সব খাবার খান যেগুলো শরীরে মেদ জমতে দেয় না।

এই খাবার পদ্ধতিকেই বলা হচ্ছে কে-পপ ডায়েট। কে-পপ ডায়েট কথাটি এসেছে সেখানকার কে-পপ তারকাদের থেকে। যারা দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীদের গোষ্ঠীর সদস্য।

কে পপ ডায়েটের নিয়ম কী?

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ডায়েট অনুসরণ করলে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখতে হবে প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি। গম, দুগ্ধজাত খাবার, চিনি ও ফ্যাটজাতীয় খাবার খাওয়া কমিয়ে আনতে হবে।

jagonews24

এর পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করাও খুবই জরুরি। অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস, শর্করাজাতীয় পানীয়ও বাদ দিতে হবে খাবারের তালিকা থেকে।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ডায়েট পদ্ধতিতে নিয়মিত খাবারের তালিকায় সবজি, ডিম, মাছ, মাংস, সামুদ্রিক মাছ, ভাত (অল্প পরিমাণে) খাওযা যাবে।

jagonews24

পাশাপাশি দুধ, দই, আইসক্রিমের মতো দুগ্ধজাত খাবার, পাউরুটি, পাস্তা, ভাজাভুজি, তৈলাক্ত খাবার, চর্বিজাতীয় মাংস, সফট ড্রিঙ্ক, বেক করা খাবার, ক্যান্ডি প্রভৃতি বাদ দিতে হবে।

বর্তমানে নেটদুনিয়ায় হাজারো ডায়েট প্ল্যান খুঁজলেই মেলে, তবে সবার শারীরিক অবস্থা এক নয়। তাই নিজের শরীরের অবস্থা জেনে বুঝে তবেই যে কোনো ডায়েট প্ল্যান শুরু করবেন। তার আগে প্রয়োজন চিকিৎসক কিংবা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া।

সূত্র: এবিপি/টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।