ব্যায়াম না করেও কি ওজন কমানো যায়?
ওজন কমানোর রেসে বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই দৌঁড়াচ্ছেন। অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে শুধু বড়রাই নয় বরং ছোটদেরও বয়স অনুযায়ী ওজন বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওজন কমাতে হলে পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি শরীরচর্চাও অবশ্যই করতে হবে।
তবে প্রতিদিনের কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই সময় বের করে শরীরচর্চা করতে পারেন। তাহলে কি ব্যায়াম ছাড়া ওজন কমানো সম্ভব নয়?
আসলে খাবার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শরীরের ওজন কমালেও, পরবর্তীতে সামান্য অনিয়ম হলে আবারও তা বেড়ে যায়। অন্যদিকে শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজন কমালে তা ধরে রাখা সম্ভব হয়।
তবে একান্তই যদি আপনি শরীরচর্চার সময় না পান তাহলে বিশেষ এক উপায়েও ওজন কমাতে পারেন। তাও আবার খুব দ্রুত। নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন? এজন্য আমার ডায়েট ও লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনতে হবে।
ব্যায়াম ছাড়াই কীভাবে ওজন কমাবেন?
শরীর প্রাথমিকভাবে লিভার ও কিডনিতে চর্বি পোড়ায়। এই দুটি অঙ্গ ‘ফাইট বা ফ্লাইট’ মোডে কাজ করে। খাদ্য গ্রহণ কমিয়ে দিলে ও রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেশি হলে শরীর শর্করা থেকে গ্লুকোজের পরিবর্তে শক্তি হিসেবে সঞ্চিত চর্বি পোড়াতে শুরু করে।
এই চর্বি পুড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ফ্যাটি অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয়, যা থেকে শরীর শক্তি ব্যবহার করে। ব্যায়াম ছাড়াই ওজন কমানো সম্ভব হয়, যখন শরীর শক্তির জন্য চর্বি পোড়ায়, কার্বোহাইড্রেট বা প্রোটিন নয়।
একজন ব্যক্তি যখন রোজা রাখেন কিংবা উপোস থাকেন তখনই কেবল শরীরে এই প্রক্রিয়াটি সংঘটিত হয়। এই উপায়ে ওজন কমাতে হলে শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট পরিহার করতে হবে।
যতটুকু শাকসবজিতে পাওয়া যাবে ততটুকুই গ্রহণ করতে হবে। যেহেতু রোজা রাখার কারণে কম খাদ্য গ্রহণ করা হয় ফলে শরীরে জমে থাকা চর্বি সহজেই গলবে আবার সেখান থেকেই শক্তি মিলবে।
তবে এক্ষেত্রে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা জরুরি। পাশাপাশি খাবার খাওয়ার সময়সূচি পরিবর্তন করুন নিজের মতো করে। ১০, ১৮, ২০ কিংবা ২৩ ঘণ্টা পর্যন্ত আপনি এক্ষেত্রে উপোস থাকতে পারবেন।
তবে নিজেকে ক্ষুধার্ত রাখবেন না। চেষ্টা করুন ধীরে ধীরে শুরু করার। এর সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত ৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। এ ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি ও পানি পান করতে হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/জিকেএস