শীতে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি হয়েছে কি না বুঝে নিন ২ লক্ষণে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০৬ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০২১

ভিটামিন ডি বা ‘সানশাইন ভিটামিন’ শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরের অপরিহার্য এক পুষ্টি উপাদান। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, এই পুষ্টি উপাদান খাবার থেকে গ্রহণ করা যায় ঠিক তেমনই সূর্যের আলো থেকেও পাওয়া যায়।

ভিটামিন ডি হাড় সুস্থ রাখতে, উদ্বেগ কমাতে ও সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন ডি’র পর্যাপ্ত মাত্রা শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই ভিটামিন ইমিউন ফাংশন উন্নত করে, বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এমনকি হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায়।

এ ছাড়াও ভিটামিন ডি মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণার তথ্য মতে, ওজন কমাতেও সাহায্য করে ভিটামিন ডি। বুঝতেই পারছেন, ভিটামিন ডি শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

আর এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে শরীরে একধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে শীতে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি বেশি হয়। কারণ এ সময় আবহাওয়া থাকে কুয়াশাচ্ছন্ন। কখনো রোদ ওঠে আবার কখনো আবহাওয়া থাকে ধোঁয়াশাচ্ছন্ন।

তাই এ সময় সূর্য থেকে ভিটামিন ডি গ্রহণের পরিমাণ কমে যায়। এ কারণে সচেতন থাকা জরুরি। তবে কীভাবে বুঝবেন যে আপনার শরীরের ভিটামিন ডি এর পরিমাণ কমে গেছে? এটি বুঝতে পারবেন দুটি অস্বাভাবিক লক্ষণে-

ক্লান্তি ও দুর্বলতা

আপনার শরীর কি সব সময়ই ক্লান্ত ও দুর্বল লাগে? এমনটি হতে পারে ভিটামিন ডি’র অভাবে। পেশেন্ট ইউকের তথ্য মতে, শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি দেখা দিলে পেশিগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে।

এ কারণে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে বা বসা থেকে উঠে দাঁড়াতেও কষ্ট হতে পারে। এ ছাড়াও ধীরে ধীরে হাঁটা বা মাথা ঘোরার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

হাড়ে বা জয়েন্টে ব্যথা

ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুদের ‘রিকেটস’ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে শিশু দুর্বল হয় ও তার হাড়ের স্বাস্থ্য বিকাশ হয় না। বৈজ্ঞানিকভাবে ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণ করতে সাহায্য করে।

যা হাড় গঠন ও শক্তিশালী করে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দুর্বল ও নরম হাড়ের বিকাশ অস্টিওম্যালাসিয়া নামক অবস্থার সঙ্গে যুক্ত। প্রায়ই হাড়ের বা জয়েন্টে ব্যথার কারণ হতে পারে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি।

শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি শনাক্ত করার উপায়

রক্ত পরীক্ষার সাহায্যে ভিটামিন ডি’র অভাব নির্ণয় করা যায়। এক্ষেত্রে দু’ধরনের পরীক্ষা আছে। তবে সবচেয়ে সাধারণ হলো ২৫-হাইড্রোক্সিভিটামিন ডি, যা সংক্ষেপে 25(OH)D নামে পরিচিত।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।