৫৪ বছরেও যেভাবে ফিট অক্ষয় কুমার

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:২০ এএম, ১১ নভেম্বর ২০২১

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অক্ষয় কুমারের পরিচয় তিনি নিজেই। অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা দিয়ে এই নায়ক কোটি কোটি ভক্তের ভালোবাসা কুড়াচ্ছেন আজও।

বর্তমানে তার বয়স ৫৪ বছর। তবুও সমানতালে পর্দা কাঁপিয়ে যাচ্ছেন ঠিক আগের মতোই। শারীরিক ফিটনেস দিয়ে তিনি কাবু করছেন বর্তমান প্রজন্মের নায়কদের।

jagonews24

পঞ্চাশার্ধ্বো হয়েও অক্ষয় আজও কীভাবে তার ফিটনেস ধরে রেখেছেন, এই প্রশ্ন সবার মনেই আছে। খুবই পরিশ্রমী এই নায়ক। সব সময় নিজেকে সক্রিয় রাখার সুফলই পাচ্ছেন তিনি।

জানলে অবাক হবেন, অক্ষয় কুমার মার্শাল আর্টে ব্ল্যাক বেল্টধারী। তার প্রতিদিনের জীবনযাত্রা খুবই নিয়মতান্ত্রিক। নিয়মিত শরীরচর্চা ও এবিসি ডায়েটের মাধ্যমেই আজও ফিট তিনি।

jagonews24

অক্ষয় কুমারের জীবনের গোপন রহস্য হলো, তিনি মোটেও পার্টি লাভিং ব্যক্তি নন। অর্থাৎ খুব কম অনুষ্ঠানেই তিনি হাজির থাকেন। রাতে ঠিক ৯টায় বিছানায় ঘুমাতে যান অক্ষয়। আর সকাল ৫টায় ঠিক জেগে ওঠেন। তারপর শরীরচর্চায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

যেখানে শরীর ফিট রাখতে বর্তমানে সবাই প্রোটিন শেক খেতে ব্যস্ত, সেখানে অক্ষয় একেবারেই এটি গ্রহণ করেন না। তিনি প্রোটিন শেকের পরিবর্তে দুধ, দেশি ঘি, দই ও লাচ্ছি খান। এসব দুগ্ধজাত খাবারই তার শরীরের প্রোটিনের উৎস।

jagonews24

দুই সন্তানের বাবা অক্ষয় বিশ্বাস করে, জোর করে শরীরচর্চা করা উচিত নয়। যদি আপনার শরীরচর্চা করতে ভালো লাগে তাহলেই করুন।

অল্প দিয়ে শুরু করুন, দেখবেন এক সময় শরীরচর্চা না করে একদিনও কাটাতে পারবেন না। অক্ষয় বিভিন্ন ধরনের শরীরচর্চা করেন যেমন- পার্কার, ওয়েট লিফ্টিং, কিক বক্সিং, ইয়োগা ও সাঁতার কাটা।

খাবারের বিষয়েও ধরাবাঁধা কোনো ডায়েট মানেন না তিনি। সব ধরনের খাবারেই তিনি খান। ভেগান ডায়েট অনুসরণ করতে বেশি পছন্দ করেন অক্ষয়। পাশাপাশি ঘরে তৈরি খাবার খেতে ভালোবাসেন।

jagonews24

সব ধরনের অ্যাসিডিক খাবার, ভাজাপোড়া, পেঁয়াজ-রসুন ও বেশি ঝালযুক্ত খাবার তিনি খান না। বরং তার খাদ্যতালিকায় থাকে শাক-সবজি, বাদাম, বিভিন্ন বীজ ও শক্তিশালী সব ভেষজ উপাদান।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।