শীতে ঠোঁটের যত্ন নেবেন যেভাবে
আমাদের শরীরের সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশ হলো ঠোঁট। ঠোঁটে কোনো অয়েল গ্ল্যান্ড না থাকায়, ঠোঁট শুকিয়ে যায়। ঠোঁট শুকিয়ে গেলে ফেটে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, ঠোঁটের চামড়ায় দাগ পড়ে। শুষ্কতার কারণে অনেকেই বারবার জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজায়। এতে ঠোঁটের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। ত্বকের মতো ঠোঁটেরও কিন্তু ক্লেজিং, স্ক্র্যাবিং প্রয়োজন। চলুন জেনে নিই, কীভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে ঠোঁটের যত্ন নেয়া যায়-
ঠোঁট নরম ও মসৃণ রাখতে মুখ ধোওয়ার পর ঠোঁটের ওপর শুকনো কাপড় ব্যবহার না করে ভেজা পরিষ্কার কাপড় অথবা ভেজা তুলা ব্যবহার করতে পারেন। এতে মরা কোষ ঝরে পড়বে। তবে খেয়াল রাখবেন ঠোঁটের চামড়া খুব পাতলা হয়। তাই জোরে ঘষবেন না। একইভাবে ঠোঁটের ওপর লাগানো লিপবাম বা লিপস্টিকও তুলে ফেলতে হবে।
ঠোঁটের জন্য সবচেয়ে উত্তম ক্লেনজার ঘি। রাতে ঘি লাগিয়ে সকালে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, এতে ঠোঁট নরম থাকবে। মধুও ব্যবহার করা যেতে পারে।
শীতকালে ঠোঁটের চামড়া দ্রুত শুকিয়ে যায়। কারণ ঠোঁটের আর্দ্রতা কম থাকে। তাই ডেড সেলগুলো ঠোঁট থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। এর জন্য দরকার স্ক্রাবিং বা এক্সফোলিয়েশন। ঠোঁটের জন্য সবচেয়ে উপকারী স্ক্রাবার হল চিনি। সামান্য পরিমাণ চিনির সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে, আঙুলের ডগায় নিয়ে হালকা করে ঠোঁটে ঘষলে মরা কোষ খুব সহজেই উঠে আসবে। এরপর ঠোঁট পরিষ্কার করে, ছোট একটি বিটের টুকরো নিয়ে ঠোঁটে ঘষুন। এটা করবেন সপ্তাহে অন্তত ২ দিন।
প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে অলিভ অয়েল নিয়মিত ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট ফাটার সমস্যা থাকবে না। আবার আমন্ড অয়েল ঠোঁটে নিয়মিত ব্যবহারে ঠোঁট ফাটার প্রবণতা দূর করে।
এইচএন/এমএস