পাকা ও মিষ্টি লিচু চেনার উপায়
বাজারে সবে লিচু বিক্রি শুরু হয়েছে। এখনও হয়তো পাকা ও মিষ্টি স্বাদের লাল টুকটুকে লিচুর দেখা নেই বাজারে! যেসব লিচু বাজারে এখন বিক্রি হচ্ছে তার বেশিরভাগই হতে পারে কম আধা পাকা ও টক স্বাদের। এখন লিচুর দামও অনেক বেশি। তাই দাম দিয়ে লিচু কেনার আগে কয়েকটি বিষয় দেখে বুঝে শুনে তবেই কিনুন।
পাকা ও মিষ্টি লিচুর স্বাদে সবাই মুগ্ধ হয়ে যায়। তবে পাকা ও মিষ্টি লিচু খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। কিছু কৌশল আছে, যার মাধ্যমে আপনি পাকা ও মিষ্টি লিচু চিনে কিনতে পারবেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক উপায়-
>> বিভিন্ন জাতের ও রংভেদে লিচু হয়ে থাকে। লাল, কমলা বা হালকা বাদামি রঙেরও লিচু পাওয়া যায়। তবে লাল রঙের লিচুগুলোই সবাইকে বেশি আকৃষ্ট করে।
>> লিচু কেনার সময় অবশ্যই এর খোসার দিকে লক্ষ্য রাখবেন। ভালো লিচু সবসময় উজ্জ্বল রঙের হয়ে থাকে।
>> যদি লিচু হাতে নিয়ে চাপ দিয়ে দেখেন বেশি নরম; তাহলে সে লিচু কিনবেন না। কারণ এগুলো হয়তো বেশি পাকা। এমন লিচুর বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে থাকে।
>> পাকা লিচু দিয়ে মিষ্টি গন্ধ বের হয়। নাকের কাছে ধরলেই টের পাবেন লিচুগুলো ভালো না-কি ফরমালিন দেওয়া। কেমিকেল দেওয়া লিচুগুলো নাকে নিলে মিষ্টি গন্ধ পাবেন না।
>> অনেক সময় ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে লিচুর গায়ে লাল রং মাখায় বিক্রেতারা। তাই লিচু কেনার পর বাসায় গিয়ে ঘণ্টাখানেক পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন। রং মাখানো থাকলে তা পানিতে মিশে যাবে।
>> লিচু কখনোই গাছ থেকে পাকা অবস্থায় সংরক্ষণ করা হয় না। যেহেতু লিচু খুব দ্রুত পাকে এবং বিক্রেতাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য পাকার আগেই লিচু সংরক্ষণ করা হয়। তাই আধা পাকা লিচু কিনেও ফ্রিজে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করলে ২-৩ দিনের মধ্যেই লিচু পেকে যাবে।
>> সবসময় গাঢ় রঙের লিচু কিনবেন এবং এর সাইজ যেন এক ইঞ্চি হয়। এমন লিচুগুলো পরিপক্ক হয়ে থাকে।
>> নষ্ট বা পচা লিচুরে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন, এর খোসা বাদামি বা দাগযুক্ত কি-না। এ ছাড়াও লিচুর গায়ে ফাটল ধরা বা পচা গন্ধযুক্ত হলে লিচু কিনবেন না।
>> লিচু ভালো কি-না তা পরীক্ষা করতে এর খোসা ছড়িয়ে দেখুন। যদি দেখেন খোসা সহজেই খুলে আসছে; তাহলে সেটি পাকা ও মিষ্টি। আর যদি সহজে খোসা না ছাড়ানো যায় কিংবা লিচুর ভেতরের অংশে বাদামি দাগ দেখা যায়; তাহলে সেটি নষ্ট হতে পারে।
>> লিচুর মুখ দেখে কিনবেন। পচা লিচুগুলোর মুখেও পচা থাকে। যদি মুখটি ডালযুক্ত থাকে; তাহলে সেটি কিনতে পারেন।
>> ভুলেও কখনো লিচুর বীজটি খাবেন না। এটি বিষাক্ত হয়ে থাকে।
জেএমএস/জিকেএস