দাম্পত্য সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করতে সঙ্গীকে যা বলবেন
দাম্পত্য সম্পর্কে সবাই সুখী হতে চায়। তবে একই ছাদের নিচে বসত করতে গেলে কখনো সখনো ঝগড়া, বিবাদ ও অভিমান হয়েই থাকে। তবুও সংসারে শান্তি বজায় রাখতে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রাখতে হয়।
যতই দাম্পত্য কলহ হোক না কেন, দু’জনকেই নিজ নিজ জায়গা থেকে সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করতে বেশকিছু কৌশল মেনে চলা উচিত।
ছোট্ট কিছু শব্দ বা বাক্যও দাম্পত্য জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন- ‘দুঃখিত’ ছোট্ট এ শব্দটি সঙ্গীর সামনে উচ্চারণ করলে, যতই ঝগড়া-বিবাদ থাকুক না কেন অন্যজনের মুখে হাসি ফুটবে।
ঠিক একইভাবে আপনি যদি কখনো বলেন ‘সব তোমার দোষ’; তাহলে কিন্তু অশান্তি আরও বাড়তে থাকবে। বেশ কিছু শব্দ বা বাক্য রয়েছে, যেগুলো দাম্পত্য জীবনে প্রয়োগ করলে সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়। জেনে নিন সেগুলো-
‘দয়া করে’
এ সাধারণ শব্দটি সৌজন্যতার পরিচয় দেয়। সঙ্গীর কাছে কিছু চাওয়ার সময় যদি আপনি এ শব্দটি ব্যবহার করেন; তাহলে সে আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে। এতে আপনার প্রতি তার স্নেহ ও ভালোবাসা বেড়ে যাবে। কারণ আপনি যদি কাউকে সম্মান দেখান; অপরজনও কিন্তু আপনাকে সম্মান করবে।
‘ধন্যবাদ’
সঙ্গী বা বন্ধুকে ধন্যবাদ দেওয়ার কী প্রয়োজন? তারা তো আপনজন- এমন কথা আমরা অনেকেই বলি। তবে জানেন কি, সামান্য এ শব্দটি কিন্তু বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ছোট্ট যেকোনো কাজের পর আপনি খুশি হয়ে যখন সঙ্গীকে ধন্যবাদ বলবেন; তখন তিনি অনেক খুশি হবেন।
‘দুঃখিত’
একসঙ্গে থাকতে গেলে সামান্য ঝগড়া তো হবেই! তাই বলে গাল ফুলিয়ে বা মেজাজ দেখানোর প্রয়োজন নেই। এতে সম্পর্ক নষ্ট হয়। বরং সামান্য উচ্চবাচ্যের পরে আপনি যদি সঙ্গীকে ‘দুঃখিত’ বলেন; তাহলে এক মুহূর্তেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
অনেকেই ভেবে থাকেন, আমি যেহেতু ভুল করিনি; তাই সরিও বলব না! মনে রাখবেন, সরি বললে কিন্তু আপনি ছোট হবেন না, বরং আপনার সঙ্গী যদি ভুল করে থাকে তাহলে সে নিজের প্রতিই লজ্জাবোধ করবে। কারও কাছে ক্ষমা প্রদর্শন করলে কেউ কখনো ছোট হয় না।
‘তোমাকে সুন্দর দেখাচ্ছে’
কোনো নতুন পোশাক পরলে বা সাজের পর সঙ্গীকে একবার ভালোবেসে বলতেই পারেন ‘তোমাকে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে’। এতে লজ্জা বা দোষের কিছু নেই। অনেকের মধ্যেই এ অভ্যাসটি নেই। মনে মনে হয়তো ঠিকই বলেন, কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারেন না, যা একেবারেই ঠিক নয়! সামান্য এ কথাটিও দাম্পত্য সম্পর্কে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
‘তোমার মতামত চাই’
যেকোনো কাজের শুরুতে সঙ্গীর কাছ থেকে পরামর্শ নিন। হয়তো আপনি ভাববেন, আমার চেয়ে কি সে বেশি বুঝবে? বিষয়টি বোঝাবুঝির জন্য নয়, আপনি তাকে কতটা গুরুত্ব দেন সে বিষয়টি বোঝাবে।
আপনি যখন তার কাছে কোনো মতামত জানতে চাইবেন, তখন সঙ্গী আপনার প্রতি সদয় থাকবে এবং শ্রদ্ধাও করবে। সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করতে ভালোবাসার পাশাপাশি পরস্পরের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
‘তুমি অবশ্যই পারবে’
সঙ্গীকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য হলেও এ কথাটি তাকে বলা উচিত। প্রিয়জনের উৎসাহ ও সহযোগিতায় অনেক অসম্ভব কাজকেও সম্ভব করা যায়।
আপনার এতটুকু কথায় সঙ্গীর আত্মবিশ্বাস অনেকাংশেই বেড়ে যেতে পারে। প্রিয়জনের সাফল্য কিংবা ব্যর্থতায় পাশে থেকে উৎসাহ ও অভিনন্দন জানান।
‘তোমাকে ভালোবাসি এবং মিস করি’
প্রিয়জনকে সময়-অসময়ে ভালোবাসি বা মিস করি বলতেই পারেন! এতে সঙ্গী কখনো বিরক্ত হবে না, বরং আপনাকেও সে ভালোবাসি ও মিস করি কথাটি বলবে। প্রকাশ না করলেও এক্ষেত্রে সঙ্গী খুবই খুশি হবে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া/জেএমএস/জিকেএস