ফার্নিচার সাজানোর যেসব ভুলে অগোছালো লাগে ঘর
ঘর সাজাতে ফার্নিচার বা আসবাবত্রের বিকল্প নেই। তার মানে এই নয় যে, ঘরে ঠাসা থাকবে আসবাবপত্র। এমন ঘর দেখতে কারো ভালো না।
ঘর সাজানোর সময় যতটা সম্ভব ফাঁকা রাখুন। অর্থাৎ কম আসবাবপত্রেই ছিমছামভাবে সাজিয়ে তুলুন আপনার স্বপ্নের ঘরটি।
অনেকে সময় দামি সব আসবাবপত্র থাকলেও মনে হয় ঘরটি অগোছালো। এমনটি হওয়ার কারণ হলো ভুলভাবে ঘর সাজানো। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ভুলগুলো সম্পর্কে-
>> বসার ঘরটি যেন হয় খুবই সাধারণ এবং পরিপাটি। অনেক আসবাবপত্র রাখবেন না ড্রয়িং রুমে। এতে যে কেউ ঘরে ঢুকতেই অন্দরের এমন হাল দেখে চমকে উঠতে পারেন!
>> আসবাবপত্র সাজানোর সময় খেয়াল রাখুন এগুলোর উচ্চতা ও মাপ। আপনি যদি বিশালাকার একটি আলমারির পাশে একটি ছোট্ট টেবিল রাখেন; তাহলে তা একেবারেই মানানসই দেখাবে না। এজন্য সব ঘরের আসবাবপত্রই যেন উচ্চতা অনুযায়ী বেশি বড় ছোট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
>> অতিরিক্ত আসবাবপত্র রুমকে ছোট বানিয়ে ফেলে। এজন্য যতটা পারেন কম আসবাবপত্র দিয়ে সাজান ঘরগুলো। এটি দেখতে চোখও আরাম পাবে আবার ঘরে পর্যাপ্ত জায়গাও থাকবে।
>> জানালার সঙ্গে লাগিয়ে কখনো বেড রাখবেন না। দেখতে খুবই বাজে দেখায় এভাবে ঘর সাজালে। অন্তত জানালা থেকে এক হাত দুরত্বে রাখুন খাট।
>> ছোট ছোট আসবাবপত্র দিয়ে ঘর সাজান। তাহলে ঘরটাকে পরিপাটি ও সুন্দর লাগবে। আবার এমন আসবাবপত্র টানাটানি করাও বেশ সহজ।
>> সোফার সামনে অবশ্যই টি টেবিল রাখুন। পাশে একটি টেবিলও রাখতে পারেন। ড্রয়িং রুম সাজানোর উপর কিন্তু আপনার ব্যক্তিত্বেরও ছাপ পড়ে।
>> ড্রয়িং রুমে রাখা টেলিভিশনের সামনে সোফাগুলো রাখুন। কখনো টেলিভিশন রাখা দেয়ালের সঙ্গে সোফা বা টেবিল চেয়ার রাখবেন না।
>> বুককেস রাখা স্থানটির আশেপাশে ছোট্ট একটি গোল টেবিল ও দু’টি চেয়ার রাখতে পারেন। অথবা একটি দোলনাও ঝুলিয়ে দিতে পারেন।
>> প্রিন্টেড কার্পেটের বদলে বড় কোনো ফুল বা এক রঙা কার্পেট দিয়ে সাজাতে পারেন। মনে রাখবেন, কার্পেট যেন আসবাবপত্রের নিচে অব্দি দেওয়া থাকে। এতে ঘর দেখতে সুন্দর লাগে।
>> ওয়ালপেইন্টের দিকে নজর দিন। বর্তমানে অনেকেই থ্রিডি ছবি ওয়ালে বসিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রেও বিশেষ রং ও ডিজাইন বেছে নিন। সবসময় ঘরে হালকা রং ব্যবহার করুন। এতে চোখ আরাম পাবে।
>> যতটা সম্ভব ঘরে আসবাবপত্র কম রাখুন। অপ্রয়জনীয় ফার্নিচার যেন ঘরে না থাকে তা খেয়াল রাখুন।
বিএইচজি/জেএমএস/জিকেএস