পাঁচফোড়নে মজাদার দই-বেগুন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৮ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

বেগুন বেশ সহজলভ্য এক সবজি। সবসময়ই বাজারে বেগুনের দেখা পাওয়া যায়। একঘেয়েমি বেগুন ভাজা আর নয়তো বেগুনের ঝোল খেয়েই নিশ্চয়ই এ সবজি থেকে রুচি উঠিয়ে ফেলেছেন!

বেগুনে রুচি ফিরিয়ে আনতে রান্না করুন পাঁচফোড়নে দই-বেগুন। স্বাস্থ্যকর এ পদ খুবই সুস্বাদু। একবার খেলে মুখে এর স্বাদ লেগে থাকবে।

এ সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যা চোখের জন্য খুব উপকারী। বেগুন খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও পাকস্থলী, কোলন, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদান্ত্রের ক্যানসারকে প্রতিরোধ করে বেগুন। বেগুনে কম কার্বোহাইড্রেট এবং বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।

অন্যদিকে টকদইয়ে আছে আমিষ, ভিটামিন, মিনারেল ইত্যাদি। এতে দুধের চেয়েও বেশী ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম আছে। তবে আর দেরি কেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক পাঁচফোড়নে দই-বেগুন রেসিপি-

উপকরণ

১. বড় বেগুন ১ টি
২. জিরা আধা টেবিল চামচ
৩. কাঁচামরিচ ৩ টি
৪. আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
৫. হলুদের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
৬. মরিচের গুঁড়া আধা টেবিল চামচ
৭. দই ২০০ গ্রাম
৮. লবণ স্বাদমতো
৯. চিনি ১ টেবিল চামচ
১০. সরিষার তেল পরিমাণমতো
১১. ধনেপাতা কুঁচি সামান্য
১২ পাচঁফোড়ন পরিমাণমতো

jagonews24

পদ্ধতি

বেগুন গোল করে টুকরো করে কেটে নিন। হলুদ গুঁড়ো এবং লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিন।

এবার চুলায় প্যান বসিয়ে তেল গরম করে নিন। গরম তেলে বেগুনের টুকরোগুলো বাদামি করে ভেঁজে নিন। অন্য একটি প্যানে তেল গরম করে জিরা ও পাঁচফোড়ন টেলে নিন।

এরপর আদা বাটা দিয়ে আরো কিছুক্ষণ ভেঁজে নিন। একেক করে কাঁচামরিচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া এবং সামান্য পানি দিন মসলাগুলো ভাঁজতে থাকুন। এরপর মশলার মিশ্রণে টকদই ও চিনি দিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন।

মশলা একটু কষানো হলে ভাঁজা বেগুন দিয়ে দিন। সবগুলো টুকরোতে যেন মশলাটা ভালো করে লাগে। কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে রান্না করুন। এরপর এতে ধনেপাতা দিয়ে হালকা আঁচে রান্না করুন।

হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। পাঁচফোড়নে দই-বেগুন গরম ভাত, পোলাও এবং খিচুড়ির সঙ্গেও খেতে পারেন।

জেএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।