নাকের সমস্যায় করণীয়


প্রকাশিত: ০৬:৫৭ এএম, ০৩ নভেম্বর ২০১৫

অন্যের ব্যাপারে `নাকগলানো` যেমন ভালো কাজ নয়, তেমনি নাকের কোনো সমস্যা নিয়ে উদাসীন থাকাটাও মোটেই সচেতন মানুষের কাজ নয়। আমাদের শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই গুরুত্বপূর্ণ। তবে নাক, কান, গলার যেকোনো সমস্যাই একটু সমীহের চোখে দেখা উচিৎ।

নাকের সমস্যার ক্ষেত্রে পলিপাস একটি পরিচিত সমস্যা। নাকের পলিপাস এক বা উভয় নাকের ভেতর হতে পারে। প্রথমে এটি দেখতে মটরশুঁটির মতো হয়। আস্তে আস্তে বড় হয়ে নাকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। অনেক সময় ন্যাজাল পলিপাস থেকে রক্ত বের হতে দেখা যায়। নাকের পলিপাস দেখতে আঙুরের মতো। এটি তুলনামূলক পুরুষদেরই বেশি হয়। অনেক সময় বংশানুক্রমিকও হতে পারে। পলিপাস প্রায় সময় নরম, নীল বর্ণ, মসৃণ শ্বেতময় ও পুঁজময় ক্ষত হতে দেখা যায়।

নাকের ছিদ্র বন্ধ হলে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে হয়। রক্তে সিরাম আইজিইয়ের পরিমাণ বেড়ে গেলে ঠাণ্ডা, সর্দ্দি, হাঁচি-কাশি ও নাক দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়তে পারে। বারবার হাঁচি, নাক দিয়ে টপ টপ করে পানি ঝরা, নাক বন্ধ থাকা- এতে নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। অনেক সময় মাথাব্যথা হয়, নাক ও কান চুলকায়, নাকে ব্যথা ও স্মৃতিশক্তি কমে যায় এবং মুখ হাঁ করে নিঃশ্বাস নিতে হয়।

চিকিৎসা :
প্রথমে পলিপাসের চিকিৎসা দিয়ে নাকের দুটি ছিদ্র বন্ধ অবস্থান থেকে খুলে নিয়ে আসা হয়। এতে ভালো ফল আশা করা যায়। অনেক সময় ভিন্ন পদ্ধতিতে অপারেশন ও সিরিঞ্জের মাধ্যমে পানি ঢুকিয়ে ওয়াশ করা হয়। এ ধরনের ওয়াশ অত্যন্ত কষ্টকর, দীর্ঘ সময় ও ব্যয়সাপেও। হোমিওপ্যাথি এক্ষেত্রে বেশ কার্যকর চিকিৎসা। অপারেশনের ঝামেলা নেই, ওষুধেও নেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

সতর্কতা :
সাইনোসাইটিস ও পলিপাসের রোগীকে সব সময় অ্যালার্জি-জাতীয় খাবার, ঠাণ্ডা ও ধুলো-বালু হতে দূরে থাকতে হবে। যথাসময় পলিপাসের চিকিৎসা না নিলে পরে সাইনাসে ইনফেকশন হয়ে সাইনোসাইটিস ও অ্যাজমা দেখা দিতে পারে। প্রতিদিন কমপক্ষে দুই চা-চামচ খাঁটি মধু ও পরিমাণমতো কালিজিরার তেল খেতে হবে।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।