ফুলকপির কিছু পুষ্টিগুণ


প্রকাশিত: ০৬:৫৫ এএম, ০২ নভেম্বর ২০১৫

আমাদের দেশে সাধারণত শীতকালেই ফুলকপির দেখা মেলে। শীতকালীন এই সবজিটি দেখতে যেমন সুন্দর, এর পুষ্টিগুণও অনন্য। এতে আছে গরুর দুধের চেয়ে পাঁচ গুণ ক্যালসিয়াম, ২০০ গুণ আয়রন। এর পাতার উপরিভাগে ক্যানসার নিরোধক উপাদান পেয়েছেন বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।

গবেষণায় দেখা যায়, মলাশয় ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অর্ধেক কমাতে হলে সপ্তাহে প্রায় দুই পাউন্ড ফুলকপি এবং এ জাতীয় শাকসবজি খেতে হবে। বিজ্ঞানীরা আরো জানিয়েছেন, ফুলকপির কচিপাতা সপ্তাহে এক আউন্সের কিছু বেশি খেলে তার দেহে ক্যানসারের ঝুঁকি অর্ধেক কমতে পারে।

অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফুলকপির কচিপাতা থেকে সংগৃহীত আইসো থায়োসায়ানেটস নির্যাস প্রয়োগে বুকের টিউমারের আকার ও সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে, যা ক্যানসারে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা ছিল। ফুলকপির পাতায় প্রচুর ভিটামিন-এ, ক্যালসিয়াম, খাদ্যশক্তি ও আয়রন আছে। এতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কালো কচুশাকের চেয়ে প্রায় দেড়গুণ, সবুজ কচুশাকের চেয়ে প্রায় তিন গুণ, লালশাকের চেয়ে দ্বিগুণ, কলমিশাকের চেয়ে ছয় গুণ, পুঁই ও পাটশাকের চেয়ে সাত গুণ, পালং ও ডাঁটাশাকের চেয়ে আট গুণ, মুলাশাকের চেয়ে ২৫ গুণ ও গরুর দুধের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি আছে।

ফুলকপিতে প্রায় সব খাদ্যের চেয়ে অনেক বেশি আয়রন আছে। সবুজ কচুশাকের চেয়ে চার গুণ, ডাঁটাশাকের চেয়ে দেড় গুণ, কলমিশাকের চেয়ে ১০ গুণ, মুলাশাকের চেয়ে ১২ গুণ ও পালংশাকের পাঁচ গুণ বেশি আয়রন আছে। খাদ্যশক্তিও প্রায় সব শাকসবজির চেয়ে অনেক বেশি। খাদ্যোপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম ফুলকপির পাতায় ক্যালসিয়াম ৬২৬ মিলিগ্রাম ও আয়রন ৪০ মিলিগ্রাম থাকে। ফুলকপিতে আয়রনের পরিমাণ আলু, মুলা, মিষ্টিকুমড়া, বেগুন, টমেটো, চিচিঙ্গা ও ঝিঙ্গার চেয়ে বেশি। তবে এ পুষ্টিমান ফুলকপির জাত ও উৎপাদনের স্থানের ওপর নির্ভরশীল।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।