আগুনে পোড়া চিকিৎসায় এই ৫ ভুল করবেন না
রান্না করার সময় দুর্ঘটনাক্রমে আপনার হাত পুড়ে গেলে প্রথমে কী করবেন? আক্রান্ত স্থানে বরফ লাগাবেন নাকি পানি ঢালবেন? ইন্টারনেট ঘাটলেই এ নিয়ে মিলবে প্রচুর টিপস এবং কৌশল। তাই আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে প্রথমে কী করা উচিত তা নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়া স্বাভাবিক।
ক্ষতি কমানোর জন্য তড়িঘড়ি করে যা কিছু পদক্ষেপ নেন, তার সবটাই সঠিক নয়। কখনো কখনো আগুনে পোড়া চিকিৎসা করতে গিয়ে না বুঝে আমরা ভালোর জায়গায় মন্দ করে ফেলি। আগুনে পোড়া চিকিৎসায় কিছু ভুল কাজ করা কখনোই উচিত নয়। জেনে নিন কী সেই কাজ-
বরফ বা ঠান্ডা পানি নয়:
শরীরের কোথাও পুড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে কমপক্ষে বিশ মিনিট ধরে সেখানে পানি ঢালা উচিত। তবে খেয়াল রাখবেন পানি রুম টেম্পারেচারের হতে হবে। ভুলেও ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে বরফ বা ঠান্ডা পারি রাখবেন না। কারণ এটি টিস্যুর ক্ষতি করতে পারে।
ফোস্কা গলাবেন না:
আপনার আক্রান্ত স্থান যদি ফোস্কায় পরিণত হয় তবে এটি গলানোর চেষ্টা করবেন না। নিজে থেকে এটি করলে সংক্রমণ হতে পারে। ফোস্কার জায়গায় যদি খুব ব্যথা হয় তবে আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করবেন না:
ছোটখাটো বার্নের জন্য আপনার অ্যান্টিবায়োটিকের দরকার নেই। অ্যান্টিবায়োটিক পুরো শরীর জীবাণুমুক্ত করতে পারে, যা প্রয়োজন হয় না। আমাদের ত্বকে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা ত্বককে নিজে থেকে নিরাময় করতে পারে।
মাখন কিংবা টুথপেস্ট ব্যবহার করবেন না:
আক্রান্ত স্থানে মাখন, মেয়নেজ বা টুথপেস্ট প্রয়োগ করলে তা আরও খারাপ করে তুলতে পারে। এর পরিবর্তে মাইক্রোবিয়াল মলম প্রয়োগ করুন। যদি ব্যথা হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথা-উপশম করার ওষুধ খান।
সূর্যের আলোতে আনবেন না:
প্রথম তিনদিনের জন্য আক্রান্ত স্থান সূর্যের আলোতে বের করবেন না। ঘরের বাইরে বেরোনোর সময় আক্রান্ত স্থান ঢেকে রাখুন। সূর্যের রশ্মি ফোসকা সৃষ্টি করতে পারে। যদি বার্ন আপনার মুখে থাকে তবে এটি স্কার্ফ দিয়ে ঢেকে রাখুন।
আপনার পোড়া কী ধরণের তা পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি যদি ছোটখাট কিছু হয় তবে বাড়িতেই প্রতিকার করতে পারেন। তবে গুরুতর ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
এইচএন/এমকেএইচ