পরিচালকরাই ব্যাংক জালিয়াতি ও দুর্নীতিতে দায়ী


প্রকাশিত: ১২:২৬ পিএম, ০১ নভেম্বর ২০১৪

ব্যাংক জালিয়াতি ও দুর্নীতির জন্য পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরাই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। শনিবার রাজধানীর রেডিসন হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে  তিনি এসব মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও সিনিয়র ম্যানেজমেন্টের নৈতিকতার অভাবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংকিং খাতে জালিয়াতি ও ঋণখেলাপীর ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া আমানত ও ঋণের সুদহারের ব্যবধান (স্প্রেড) বেশি থাকার কারণ হিসেবেও তারা পরিচালনা পর্ষদকেই দায়ী করেছেন।

গভর্নর বলেন, ব্যাংকের পর্ষদ ও সিনিয়র ম্যানেজমেন্টের নৈতিকতার অভাব ও সমন্বয়হীনতার কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিয়েছিল। ঠিক একই কারণে সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশে ব্যাংক জালিয়াতি ও ঋণখেলাপীর ঘটনা ঘটেছে।

গভর্নর আরও বলেন, অনেক ব্যাংকে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসনের দুর্বলতা, বড় শেয়ার গ্রহীতার ঋণ গ্রহণে কারসাজির সুযোগ করে দেওয়া এবং অভ্যন্তরীন নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা ব্যাবহার করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করে।

পরিচালনা পর্ষদ ও সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট সাধারণত স্বল্প মেয়াদে বিনিয়োগ করে অধিক মুনাফা পেতে চায়। যা বাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলে। এতে ব্যাংক ভবিষ্যত আয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিজনেস মনিটর ইন্টারন্যাশনালের তথ্য তুলে ধরে গভর্নর বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যদেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে ব্যাংকগুলোর সম্পদ খুব দ্রুত বাড়ছে। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর মোট সম্পদের ১৯ দশমিক ১ শতাংশই বেড়েছে গত পাঁচ বছরে। যেখানে শ্রীলঙ্কার ১৮ শতাংশ, পাকিস্তানের ১৭ দশমিক ২ শতাংশ এবং ভারতে ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।