সংসারের বাড়তি খরচ কমাতে যা করবেন
করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বে তো আর্থিক মন্দা দেখা দিচ্ছেই, সেইসঙ্গে এই সমস্যার কোপ পড়ছে সাধারণ মানুষের উপর। পূর্বের আয়ের চেয়ে এখনকার আয় অনেকের ক্ষেত্রেই কমে গেছে। যারা চাকরি করেন তাদের অনেকেরই একটা বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ আগে যা বেতন পেতেন তার থেকে বেশ কিছুটা অংশ কম পাবেন। লকডাউনের কারণে ব্যবসায়ীদের উপার্জনও বলতে গেলে বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে প্রত্যেকেই পড়েছেন মহা সমস্যায়। এমন অবস্থায় সংসারের বাড়তি খরচ কমাতে হবে। যা করতে পারেন-
আপনার সংসার খরচের নিশ্চয়ই একটা বাজেট আছে? সেখান থেকে দেখুন কোন কোন খাতে আপনি খরচ কমাতে পারেন। আমাদের অনেকের বাড়িতেই মাসে অনেক বাড়তি খাবার আসে, সেগুলো বন্ধ করুন। যতটা প্রয়োজন তার থেকে বেশি এই মুহূর্তে কিছু খরচ না করলেই ভালো।
আগে না জানলেও এই লকডাউন পরিস্থিতিতে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন যে ঠিক কী কী না কিনলেও আপনার সংসার চলে যায়। কাজেই অতিরিক্ত যে জিনিসপত্র আপনি কিনে বোঝাই করে রাখতেন, সেগুলো কেনা বন্ধ করুন। দেখবেন খরচ বেশ অনেকটাই বাঁচবে।
আপনি যদি অনলাইনে কাঁচা বাজার কিনে থাকতেন আগে, এখন তার বিকল্প খুঁজে নিন। পাড়ার মুদির দোকানে হয়তো আপনি বেশ কিছুটা কম খরচেই বাজার করতে পারবেন। ঠিক একইভাবে অনলাইন অ্যাপ বা সুপার শপের তুলনায় পাড়ার সবজি বিক্রেতার কাছে কিছুটা সস্তায় সবজি বা ফল পেয়ে যাবেন। এতে দুটো ভালো ব্যাপার হবে- এক, আপনার খরচ বাঁচবে; দুই, পাড়ার মুদি বা সবজি বিক্রেতারও কিছুটা আয় হবে।
আমাদের অনেকের বাড়িতেই বাইরে থেকে খাবার আসে। সেসব এখন বন্ধ করে নিজেই রান্নার দায়িত্ব নিন। পাঁচ পদের বদলে এক-দুই পদ রাঁধুন। এতে সমস্য এবং খরচ দুই-ই বাঁচবে। খরচ তো কিছু কমাতেই হবে।
অনেকেই নিজের কর্মক্ষেত্রে গাড়িতে করে যাতায়াত করেন। লকডাউন শেষ হলে আবার আপনি অফিসে যাবেন। সেক্ষেত্রে কিন্তু অন্য কলিগদের সঙ্গে কার পুল করতে পারেন। এতে আপনার ও তার খরচ যেমন বাচবে, তেমনই পরিবেশ দূষণ ও যানজটও কমবে।
বিদ্যুতের বিলে কিন্তু আমাদের মাসে বেশ বড় একটা অংশ খরচ হয়। যেহেতু এখন গরমকাল পড়ে গেছে, অনেকেই এসি ছাড়া থাকতে পারছেন না। এসিতে টাইমার লাগিয়ে রাখুন। ঘরের তাপমাত্রা বেশ কমে গেলে এসি বন্ধ করে ফ্যান চালিয়ে নিন। দিনের বেলা আলো জ্বালিয়ে রাখবেন না। খালি ঘরে ফ্যান চালিয়ে রেখে দেবেন না।
এইচএন/এমকেএইচ