এই খাবারগুলো আপনার বিষণ্নতা দূর করবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫১ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২০

এই সময়ে এসে বিষণ্নতা ভর করা খুবই স্বাভাবিক, যখন পুরো পৃথিবী একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পত্রিকা-টিভি খুললেই শুধু সারি সারি লাশের ছবি। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর সংবাদ আমাদের মানসিক চাপ আর বিষণ্নতার দিকে ঠেলে দিতে যথেষ্ট।

বিষণ্নতাকে পাত্তা দিয়ে নিজেকে বিমর্ষ হতে দিলে আপনি ভুল করবেন। এই সময়ে কিছুতেই ঠাঁই দেয়া যাবে না বিষণ্নতা নামের মনের অসুখকে। বরং একে জয় করে সুস্থ থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে কিছু খাবার। এই খাবারগুলো খেলে আপনার বিষণ্নতা দূর হবে দ্রুতই-

jagonews24

হলুদ ও লেবু: গবেষণা বলছে, ক্যানসার ও অ্যালঝাইমারের মতো ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠতে হলুদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এর মধ্যে অ্যান্টি ডিপ্রেস্যান্ট মৌল রয়েছে যা হতাশা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।

ওটমিল: ওটমিলে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরে সেরোটিন তৈরি করে। সেরোটিন মন ভালো করতে সাহায্য করে, শান্তি এনে দেয়।

jagonews24

আখরোট: আমাদের মস্তিষ্কে ফ্যাটের পরিমাণ ৮০ শতাংশ। আখরোট মস্তিষ্কের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। এই ফল মন ভালো করে, এর মধ্যে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের কাজে সাহায্য করে।

ফলমূল: ফলে প্রচুর ভিটামিন। ফাইবার, আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট- কী নেই! ডায়াবেটিসের রোগীদের প্রতিদিন ফল খাওয়া উচিত, এতে তাদের জিআই কম হয়। ফলে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী।

চকোলেট: মানসিক চাপ কমাতে চকোলেটের বিকল্প নেই। বিশেষ করে ডার্ক চকোলেট। এর মধ্যে থাকা ফিনাইলেথাইলামাইন মস্তিষ্ককে শান্ত রাখে।

jagonews24

পেঁয়াজ: পেঁয়াজের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত কোষের মেরামতে সাহায্য করে। মন ভালো করতেও সমান কার্যকরী।

কেশর: কেশর বহু মানসিক রোগ ও ডিসঅর্ডারের ওষুধ। ডায়েটে কেশর রাখুন, কমবে বিষণ্নতা।

jagonews24

সবুজ শাকসবজি: পালংশাক, মেথিশাক বেশি করে খান। কোষকে এরা রোগমুক্ত করে, মেরামত করে মস্তিষ্ককে।

জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার: জিঙ্ক মস্তিষ্কের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। রক্তে জিঙ্কের পরিমাণ কমে গেলে চিন্তা, মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা বেড়ে যায়। অতএব ডায়েটে রাখুন পালংশাক, অ্যাভোকাডো, মাংস, ডিম, কাবুলি চানা ও বাদামের মত জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবারদাবার।

এইচএন/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।