রাতে নির্ঘুম কিন্তু দিনে ঘুম পাচ্ছে? জেনে নিন সমাধান
অডিও শুনুন
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি। এর থেকে দু’-এক ঘণ্টা হলেও মানিয়ে নেয়া যায়। তাই বলে একেবারে ঘুমহীন! দুশ্চিন্তার এই সময়ে নির্ঘুম রাত পার করার মতো যন্ত্রণা আর হয় না। সারারাত বিছানায় এপাশ ওপাশ করে কাটালেন, এদিকে সকালে উঠেই ওয়ার্ক ফ্রম হোম অর্থাৎ অফিসের কাজ। আর কাজের ফাঁকে ফাঁকেই তুলছেন হাই। কারণ দিনের সময়টাতে ঘুম আপনাকে টানছে। এই অনিদ্রার কারণে পড়তে পারেন আরও কিছু সমস্যায়। জেনে নিন সমস্যা ও তার সমাধান-
যেসব সমস্যা হতে পারে
* রাতের সময়টা ঘুমের। এই সময়টা জেগে কাটালে দিনে তো ঘুম পাবেই। আর এতেই বিগড়ে যেতে পারে আপনার রুটিন। কারণ শরীর তো বিশ্রাম বা আরাম চাইবেই। অথচ আপনার কাজ, সকালে বিশ্রাম নেওয়ার অবসর হয়তো দেবে না। ফলে বেশ কিছু দৈনন্দিন সমস্যা নিয়েই আপনাকে চলতে হবে। যাতে একদিকে যেমন শরীর বিগড়ে যাবে, তেমনই খারাপ হবে আপনার কাজের মান।
* ঘুম কম হলে মাথা যন্ত্রণার সমস্যায় ভোগেন বহু মানুষ। কারও মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে ঘুমের অভাবে সেই সমস্যাও মাথা চাড়া দিতে পারে। এমনী শরীরে বিভিন্ন অংশে যন্ত্রণা হতে পারে। বিশেষত বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। কারণ পেশি সচল থাকবে না। শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাবে। ফলে যেকোনো কাজে ক্লান্তি আসাটা স্বাভাবিক। এমনিতেই ঘুম পেলে কোনো কাজে উৎসাহ পাবেন না। একঘেয়েমির ফলে আরও বিরক্ত হয়ে যাবেন।
* আপনি রাতে যে খাবার খান, ঘুম না হওয়ার কারণে তা হজম হবে না। এতে পেটের গন্ডগোল যেমন হতে পারে, তেমনই বমির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সব মিলিয়ে ঘুম না হলে কোনও কাজেই আপনি উৎসাহ পাবেন না।
সমাধান মিলবে যেভাবে
* খাবার তালিকায় বেশি করে ফল রাখুন। যেকোনো রকম মৌসুমি ফল একাধিক খাওয়া জরুরি। এতে আপনার শরীরে পানিরর ঘাটতি হবে না। আর্দ্রতা বজায় থাকলে অক্সিজেনের ব্যালান্স থাকাও স্বাভাবিক।
* রাতে ঘুম না হলে অ্যালকোহল এবং ধূমপানের যাবতীয় রুটিন দিনের বেলা বন্ধ করে দিতে হবে। কাজের মধ্যে মদ্যপান বা ধূমপান আপনার স্নায়ু আরও শিথিল করে তুলবে। এতে কাজের ব্যাঘাত ঘটবে।
* শরীরচর্চা যেকোনো বয়সের মানুষের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, অথচ দৈনন্দিন শরীরচর্চার অভ্যাস বজায় রাখতে পারেন, তাহলে কিছুটা ব্যালান্স করা সম্ভব।
* সম্ভব হলে দিনের কাজের ফাঁকে ১৫-২০ মিনিটের পাওয়ার ন্যাপ নিয়ে নিন। এতে তাৎক্ষণিক ক্লান্তি দূর হবে সহজেই। নতুন করে কাজে শক্তি পাবেন।
এইচএন/এমকেএইচ