মন চাইলেই খাওয়া নয়, অভ্যাস করুন এভাবে
বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে দেখা নেই অনেকদিন। ঘরে বন্দি থেকে অফিসের কাজ করতে হোক বা না হোক, ক্ষুধাটা এই সময়ে বেশ মাথায় চড়ে বসে। উৎকণ্ঠা কাটাতে বলুন আর মন ভালো রাখতে, নানারকম খাবার সত্যিই কার্যকর। তাই বলে মন চাইলেই খেয়ে নেবেন?
যখন তখন খাওয়ার অভ্যাস বন্ধ করতে হবে অনেক কারণে। প্রথমত, এই সময়টা খাবার নিয়ে বিলাসিতা করার সময় নয়। করোনা পরবর্তী পৃথিবী আমাদের জন্য কতটা সহায়ক হবে, তা এখনই অনুমান করা সম্ভব নয়। তবে নানা রকম সংকট যে দেখা দিতে পারে, তা পৃথিবীর বড় বড় বিশেষজ্ঞরা হিসাব করে দেখিয়েছেন। তাই অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকার অভ্যাসটা এখনই গড়তে হবে।
এছাড়াও ভাবতে হবে আপনার শরীরের দিকটাও। একটানা খাওয়ার অভ্যাসের কারণে শুধু যে ওজন বেড়ে যাবে হু হু করে তাই নয়, ছাপ পড়বে আপনার শরীরেও। কাজেই যদি কোয়ারেন্টাইন পর্ব শেষে নিজের ফিটনেস ধরে রাখতে চান, রাশ টানুন যখন তখন খাওয়ার অভ্যাসে-
পরিমাণ বুঝে খান: খেয়ে খেয়ে একঘেয়েমি কাটাতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যসম্মত খাবারও একগাদা খেয়ে ফেললে কোননো লাভ নেই। মেপে অল্প অল্প করে সময়ের নিয়মিত ব্যবধানে খান।
খাবার চিবিয়ে খান: ধীরে ধীরে ভালো করে চিবিয়ে খেলে বেশি খেয়ে ফেলার স্বভাব দূর হবে। ছোট ছোট গ্রাসে মুখে খাবার তুলুন, ভালো করে চিবিয়ে খান। তাতে খাবারের সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ শরীরে শোষিত হবে, একগাদা খেয়ে ফেলার ভয় থাকবে না।
প্রচুর পানি পান করুন: ডিহাইড্রেটেড হয়ে যাবেন না। খাবার খাওয়া শুরু করার আগে বড়ো গেলাসের এক গ্লাস পানি পান করুন। তাতে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যাবে, বেশি খেয়ে ফেলার ভয়ও থাকবে না।
সালাদ জাতীয় খাবার খান: অসময়ে ক্ষুধা পেলে জাঙ্ক ফুড বা স্ন্যাকস না খেয়ে ফল বা সালাদ খান। এতে পেট ভরে যাবে, শরীরও সুস্থ থাকবে।
অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকবেন না: খাওয়াদাওয়া করুন নির্দিষ্ট সময় মেনে। একটানা অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে খাওয়ার পরিমাণও বেশি হয়ে যায়। নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে অল্প করে খান। হঠাৎ ক্ষুধা পেলে হাতের কাছে রাখুন বাদাম জাতীয় খাবার। পেটও ভরবে, শরীরও ভালো থাকবে।
এইচএন/এমকেএইচ